ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

খালেদার কাছে দুই জেলা-নেতার পাল্টাপাল্টি নালিশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩০ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৭
খালেদার কাছে দুই জেলা-নেতার পাল্টাপাল্টি নালিশ

ঢাকা জেলা বিএনপির প্রতিনিধিসভায় মারামারি ও হট্টগোলের পর পরস্পরের বিরুদ্ধে চেয়ারপার্সনের কাছে লিখিত নালিশ করেছেন নেতারা। ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খন্দকার আবু আশফাক এবং ঢাকা জেলা যুবদলের আহবায়ক নাজিম উদ্দিন ওরফে ভিপি নাজিম ঘটনার জন্য পরস্পরকে দায়ী করে এ নালিশ করেন। দলের শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য পরস্পরকে দুষছেন আর পরস্পরের বহিষ্কার দাবি করছেন তারা।

ঘটনার সূত্রপাত গত ১৪ মে। ঢাকার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে।

সেখানে অনুষ্ঠিত ঢাকা জেলা বিএনপির প্রতিনিধিসভায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ইউনিট থেকে মিছিল নিয়ে যান। ঢাকা জেলা যুবদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিলসহ সেখানে গেলে নাজিম তাদেরকে পরিচয় করিয়ে দেন। একপর্যায়ে পরিচয়পর্বে বাধা দিয়ে নাজিমকে মঞ্চ থেকে নেমে যেতে বলেন আবু আশফাক । এতেই শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। এরপর সভা শুরু হলে জ্যেষ্ঠতা লংঘন করে আবু আশফাক কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে থাকেন। তিনি দলের শীর্ষ নেতাদের উদ্দেশ্য করে বক্তব্য দিলে চেয়ার ছোড়াছুড়ি, ভাংচুর ও মারামারি  বেঁধে যায়।

আশফাকের হয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ লাঠিসোটা ও লোকজন নিয়ে আশফাক-বিরোধীদের উপর হামলা করেন। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হন। বিব্রত হন সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ। সভার প্রধান অতিথি বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বক্তব্য না রেখেই চলে যান। ঘটনার দু’দিন পর আশফাক এবং ১৮ মে নাজিম উদ্দিন বিএনপি চেয়ারপার্সনের সঙ্গে দেখা পরে একে অপরের নামে লিখিত অভিযোগ করেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে মোবাইল ফোনে বুধবার যোগাযোগ করা হয় ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের সঙ্গে। কিন্তু এ নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি শুধু বলেন, ‘ওইদিনের ঘটনার বর্ণনা চেয়ারপার্সনকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই চূড়ান্ত। ’

এ বিষয়ে ঢাকা জেলা যুবদলের আহবায়ক নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘আবু আশফাক তার আগে জেলা যুবদলের সভাপতি ছিলেন। সংগঠনে স্থবিরতা দেখা দেয়ায় ২০১০ সালে তাকে বাদ দিয়ে আমাকে জেলার দায়িত্ব দেয়া হয়। জেলা বিএনপির প্রতিনিধিসভা চলাকালে আবু আশফাক দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে প্রকাশ্যে গালমন্দ করে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। ’

নাজিম আরও জানান, তিনি ১৮ মে রাতে দলের চেয়ারপার্সনের সঙ্গে তার গুলশান কার্যালয়ে দেখা করে আশফাকের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকান্ডের লিখিত অভিযোগ করেছেন। চেয়ারপার্সন যে সিদ্ধান্ত নেবেন তাই চূড়ান্ত।

এ বিষয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদের সঙ্গে কথা বলতে একাধিকবার তার মোবাইলে কল করা হয়। কিন্তু তিনি কল রিসিভ করেননি।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৭
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।