রোববার (২ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, দুর্নীতি আর লুটপাটের মাধ্যমে আর্থিক খাতগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
রিজভী বলেন, লুটপাটের ঘটনা দেশের সবত্রই বিরাজমান। তারা লুটপাটের মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার করে পুরো দেশটাকে ধ্বংস করেও ক্ষমতাসীনদের ক্ষুধা মিটছে না। এখন তাদের থাবা সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকেও। দেশকে বিভিন্ন ধরণের অবিচার অনাচারের নৈরাজ্যময় পরিস্থিতিতে দেশবাসী এখন বিপর্যস্ত ও বিপন্ন। কিন্তু প্রতিবাদ করলেই আওয়ামী মন্ত্রী ও নেতাদের আঁতে ঘা লাগে। কারণ তাদের প্রচারিত মিথ্যা কথা সবাইকে বিশ্বাস করতে হবে। গায়ের জোরে তারা মিথ্যাকে সত্য বলে জনগণের ওপর চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে।
ভয়াবহ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনগণের রুদ্র গ্রীষ্মের মতো ক্রোধকে প্রশমিত করার জন্য সরস মিথ্যার বাতাস বইয়ে দেওয়ার টেকনিট গ্রহণ করেছে বর্তমান সরকারের মন্ত্রী-নেতারা। তারা সত্যের লেশ এরা সহ্য করে না। আওয়ামী লীগের নেতারা জেনেটিক্যাল লায়ার। কিছু নেতা আছে যারা মন্ত্রীত্ব হারিয়ে এখন বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এদের দ্রুত মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন। ক্ষমতাতপস্বী আওয়ামী লীগ যদি এখনও নিজেদের সংশোধন না করে তাহলে অবিলম্বে তাদের বিপজ্জনক অবতরণ ঘটবে।
বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নিঃশেষ করতে বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর এটি আরেকটি বিভৎসতা ও হিংস্ররতার প্রতিচ্ছবি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৭
এএটি/