ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

নির্বাচন নিয়ে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে সরকার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২১ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৮
নির্বাচন নিয়ে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে সরকার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ/ছবি- জি এম মুজিবুর

ঢাকা: নির্বাচন নিয়ে সরকার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

তিনি বলেছেন, আপনারা (সরকার) একদিকে বলছেন সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন চান, বিএনপি নির্বাচনে আসুক। অন্যদিকে বলছেন, খবরদার সভা-সমাবেশ করতে দিবো না।

তবে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপিই একমাত্র দল যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ক্ষমতায় আসতে পারে।  

শুক্রবার (১৬ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন আয়োজিত নাগরিক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

মওদুদ আহমদ বলেন, এ সরকারের আমলে যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের বড় কোনো ক্ষতি হয়ে থাকে তা হলো বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ধ্বংস। কোনো বিচারকের পক্ষে ভয়ভীতি উপেক্ষা করে রায় দেওয়া সম্ভব নয়। খাতা কলমে বিচারকদের স্বাধীনতা আছে, কিন্তু বাস্তবিক অর্থে তা নেই।

বাংলাদেশের মানুষ স্বৈরাচার পছন্দ করে না জানিয়ে তিনি বলেন, যতই কলাকৌশল করেন না কেন, জনগণের বিজয় আসবেই। খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখতে যতই বিলম্ব করুন না কেন, তিনি কারামুক্ত হবেন এবং তার নেতৃত্বেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে।  

বিএনপিকে হাত-পা বেঁধে সাঁতার কাটতে বলা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের নেত্রীকে কারাগারে রেখে, দলীয় নেতাকর্মীদের কারাগারে রেখে, নির্বাচনে আসতে বলা হচ্ছে। তা কী করে সম্ভব? কৃত্রিম উপায়ে আপনারা যতই দল বানান না কেন, তাতে কোনো লাভ হবে না। বিএনপিই একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী।  
 
স্থায়ী কমিটির এ সদস্য আরও বলেন, বিদেশি কূটনৈতিকরা বলেন, এমনকি দায়িত্বশীল সংবাদমাধ্যমও বলে বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত। এছাড়া অনেক বুদ্ধিজীবীরাও কানে কানে বলেন এবার নির্বাচন বর্জন করবেন না। কিন্তু কেউ তো এই কথাগুলো বলেন না যে, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য যে প্রস্তুতি-প্রচারণা দরকার তা করতে দিতে হবে।  

সরকারি খরচে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারণার সমালোচনা করে মওদুদ বলেন, সরকারি খরচে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন এবং শতশত প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, যা সুস্পষ্টভাবে নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন। তিনি (শেখ হাসিনা) পারেন দলীয় সভানেত্রী হিসেবে দলীয় খরচে নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে নৌকায় ভোট চাইতে। কিন্তু সরকারি প্রকল্প উদ্বোধন করতে গিয়ে দলীয় প্রতীকে ভোট চাইতে পারেন না। দলীয় প্রচারণায় গেলে একইসঙ্গে খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে সমান সুযোগ দিতে হবে।  

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আমির হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে ও কৃষক দলের শাহবাগ থানা সভাপতি এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমতুল্লাহ প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৮
এএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।