ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আলোচনায় বসতে ফের ফখরুলের তাগিদ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪১ ঘণ্টা, মে ২, ২০১৮
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আলোচনায় বসতে ফের ফখরুলের তাগিদ জিয়াউর রহমানের মাজারে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: আগে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা কখনই গ্রহণযোগ্য হবে না জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসা দরকার। এ বিষয়ে দলগুলোর সঙ্গে কথা না বলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) একতরফাভাবে তফসিল ঘোষণা কোনও দলই মেনে নেবে না।

বুধবার (২ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।  

জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে দলের প্রতিষ্ঠাতার কবরে ফুল দেন ফকরুল।

সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সরকার যা নির্দেশ দিচ্ছে নির্বাচন কমিশনও তাই করছে। নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা, নীতি ও নিয়ম রয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি সে নিয়ম মানছে না। একতরফাভাবে তাদের যে ব্লু প্রিন্ট, সেদিকে যাচ্ছে। ’

ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, ‘দেশের প্রধান বিরোধী দলকে দূরে রেখে, খালেদা জিয়াকে বাইরে রেখে একতরফা নির্বাচন করার চেষ্টা করছে সরকার। কারণ আওয়ামী লীগ পুরোপুরি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাদের জনগণের কাছে যাওয়ার জায়গা নেই। তারা নিশ্চিত বিরোধী দল নির্বাচনে গেলে তাদের ভরাডুবি হবে সে জন্য একতরফা নির্বাচনের জন্যই এ কমিশন গঠন করেছে। যাতে তাদের মাধ্যমে আবারও ক্ষমতায় আসতে পারে। কিন্তু এটি কখনও জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না আমরা আগেই বলেছি। ’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিরোধী দলের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করা, কোনও ডায়ালগ ওপেন না করা, দেশের মানুষের যে ওপেনিয়ন, সেটি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে এ সরকার তাদের ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য একদলীয় শাসন ব্যবস্থা পোক্ত করবার জন্য, অন্ধকার গহ্বরের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ' 

সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘গাজীপুরের এসপি হারুনকে সরানোর জন্য আমরা চিঠি দিয়েছিলাম কিন্তু কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো আমাদের জোটের ৪৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। এমনকি যিনি মেয়র পদে দাঁড়িয়েছিলেন তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এসব কারণে এ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে এটি মনে করার কোনো কারণ আমি দেখছি না। ’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিমসহ শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, মে ২, ২০১৮
এমএইচ/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।