ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

আরও অসুস্থ হয়ে গেছেন খালেদা: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৮
আরও অসুস্থ হয়ে গেছেন খালেদা: ফখরুল

ঢাকা: কারাগারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অারও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে দাবি করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম অালমগীর। তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়া প্রতি রাতে জ্বরে অাক্রান্ত হচ্ছেন, হাঁটুর ব্যথায় হাঁটতে পারছেন না। তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

খালেদার স্বজনদের বরাত দিয়ে বুধবার (৩০ মে) দুুপুরে নয়াপল্টনের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ফখরুল এ কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, মঙ্গলবার (২৯ মে) তার (খালেদা জিয়ার) পরিবারের সদস্যরা তাকে দেখতে গিয়েছিলেন।

তারা এসে বলেছেন, তিনি হাঁটতে পারছেন না। তার বাম হাত খুব ক্ষতিগ্রস্ত। নিউরো সমস্যা আগের চেয়ে অনেকগুণ বেড়ে গেছে। হাঁটু প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। চোখে অপারেশন হয়েছে। (কারাগারের) বাইরে যখন ছিলেন তখন এসব নিয়মিত চিকিৎসা হতো। কারাগারে থাকার কারণে তিনি ব্যক্তিগত চিকিৎসা থেকে দীর্ঘদিন বঞ্চিত। এছাড়া তাকে চিকিৎসকেরা প্রেসক্রাইব করেছেন, ফিজিওথেরাপি দেওয়ার জন্য, তা-ও দেওয়া হয়নি।

‘আমরা অনেকবার বলেছি তাকে কারাগারের বাইরে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য। আমাদের আবেদন কারা কর্তৃপক্ষ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠিয়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য দেশ-বিদেশ থেকে অনেক অনুরোধ এলেও তিনি এখন পর্যন্ত কিছুই করেননি। ’

ফখরুল কাল বিলম্ব না করে খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতালে (ইউনাইটেড) স্থানান্তরিত করে তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করারও দাবি জানান। বক্তব্য রাখছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরবিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, কারাগারে স্যাঁতসেতে পরিবেশ, বিশুদ্ধ পানির অভাব, গুমোট আবহাওয়া, নিয়মিত বিদ্যুৎহীনতার কারণে খালেদা জিয়ার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেছে। প্রতিরাতে জ্বর আসছে। জ্বর যাচ্ছে না। এই কারাগারে কোনো জেনারেটর নেই। আগে আমরা যখন ছিলাম তখন পাওয়ারফুল জেনারেটর ছিল। কখনো বিদ্যুৎ যেত না। এখন প্রায়ই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে, সে কারণে ফ্যান কাজ করে না। বাতি জ্বলে না, তাই মোমবাতি, আর হাত পাখা দিয়েই তাকে থাকতে হচ্ছে। এই যে অমানবিকতা, হৃদয়হীনতা, এটার বোধ হয় তুলনা নেই।

কারাগারে খালেদা জিয়ার জন্য যে রান্না হয় সেই রান্নার কোয়ালিটি এখন অত্যন্ত খারাপ হয়ে গেছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, বাইরে পরিবারের তরফ থেকে কোনো খাবার নিতে দেওয়া হচ্ছে না। এ কথাগুলো বারবার বলে বলে আমরা ক্লান্ত হয়ে গেছি। এ অবস্থায় তার দ্রুত রক্ত পরীক্ষা ও এমআরআই করা দরকার।

তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তারা প্রতিবছর ত্রাণ দিয়ে থাকেন। এ বছর ত্রাণ বিতরণে সব জায়গায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। ফখরুল বলেন, আমি নিজে একটি জায়গায় কিছু দিয়েছি। এরপর খবর পেয়েছি, মোহাম্মদপুর, কলাবাগানসহ সব জায়গা থেকে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। মহানগর দক্ষিণের ২৫টি পয়েন্টে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোথাও দিতে দেয়নি। এ পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে।  

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৮
এমএইচ/এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।