ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

আ’লীগের পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে: মোশাররফ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৮
আ’লীগের পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে: মোশাররফ

ঢাকা: আওয়ামী লীগের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ভোট চুরি করার জন্যই ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) পদ্ধতিতে ১০০ আসনে ভোটগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ সরকার।
 
 

বুধবার (২৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত ‘তড়িঘড়ি করে আরপিও সংশোধনের উদ্যোগ এবং বিতর্কিত ইভিএম পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে নাগরিক শঙ্কা’ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের পর আওয়ামী লীগ ভোট কারচুপি করার জন্য নির্বাচনী আইন গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) সংশোধন করেছিল।

এখন আবার একই লক্ষ্যে আরপিও সংশোধনের চেষ্টা করছে।  

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ইভিএম ব্যবহার উঠে যাচ্ছে দাবি করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, বিশ্বের যেসব দেশে এ পর্যন্ত ইভিএম ব্যবহার হয়েছে, সেসব দেশ আবার বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। অনেকে বাদও দিয়েছে, যেমন ভারত। সেখান থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। এছাড়া সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোতে দেখা গেছে ইভিএমের সুইচে চাপ দিলে শুধু নৌকা প্রতীকই আসে। অর্থাৎ তারা ১০০ আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতার় মতো নির্বাচনে জেতার আশায় ইভিএম ব্যবহার করবে।

নির্বাচন কমিশনকে অক্ষম উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী আরও বলেন, গত ১৫  জুলাই নির্বাচন কমিশনের সচিব ঘোষণা দিয়েছিলেন আরপিও সংশোধন হবে না এবং ইভিএম নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে না। এর আগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বারবার বলেছেন আরপিও সংশোধন করা হবে না। কিন্তু ১০০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের ঘোষণা হয়েছে ও আগামীকাল আরপিও সংশোধনের একটি সভা বসবে। তাহলে তাদের তো অক্ষমই বলতে হবে। এই সরকারের অধীনে যেমন নির্বাচনে যাওয়া সম্ভব নয়, তেমনি এই নির্বাচন কমিশনকেই সংশোধন করতে হবে।

ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কৌশল করছে অভিযোগ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ কৌশল করে (বিএনপি প্রধান) খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছে। তারা সবাই ভেবেছিল এতে বিএনপি নড়বড়ে হয়ে যাবে। কিন্তু জনগণ রাস্তায় নামলে তাদের অস্তিত্ব থাকবে না, তা কোটা ও কলেজ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মাধ্যমে তারা বুঝতে পেরেছে। বিএনপি তো জনগণেরই দল। তাই তারা অন্য কৌশল নেমেছে।  

স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতউল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আব্দুল মানিক রতন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ।  

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, মানুষ ভাবতো আওয়ামী লীগ যা খুশি তা-ই করতে পারে। তারা পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন খেয়ে  ফেলেছে। কিন্তু একটিতে গিয়ে ধরা খেয়েছেন। তারা বুঝেছেন, যা খুশি তা করা যায় না। আমি দেখেছি নৌকার ব্যাজ লাগানো নেতারা ধানের শীষে ভোট দিয়েছে। কারণ কোনো স্তরের মানুষই এখন আর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। কোটি কোটি টাকা গিলে খাওয়ার বিচার হচ্ছে না, কিন্তু আড়াই কোটি টাকার কারণে সাবেক দেশনেত্রীকে জেল খাটতে হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৮
এমএএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।