ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

সরকারের কথায় নির্যাতন করবেন না, পুলিশকে ড. মোশাররফ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮
সরকারের কথায় নির্যাতন করবেন না, পুলিশকে ড. মোশাররফ গণঅনশনে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা: পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, এ সরকারের সময় শেষ, তাদের কথায় আর জনগণকে নির্যাতন করবেন না। কারণ আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী।

আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ, প্রশাসন ও পুলিশবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তিনি বলেন, আপনারা আওয়ামী লীগের কর্মকর্তা-কর্মচারী নন। তাই তাদের নির্দেশিত পথে আর নির্যাতন গ্রেফতার করবেন না।

বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির ও সুচিকিৎসার দাবিতে বিএনপি আয়োজিত প্রতীকী অনশনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মোশাররফ বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আমরা নির্বাচনে অংশ নেবো। এদেশের মানুষ খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। এখন যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাজ করছেন আপনাদের কিন্তু ভবিষ্যতেও কাজ করতে হবে। তাই আহ্বান জানাচ্ছি এ সরকারের সময় শেষ তাদের কথায় আর নির্যাতন চালাবেন না।

তিনি আরও বলেন, আজকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র আওয়ামী সরকারের কাছে বন্দি। দেশের সব জনগণ, বিএনপি ও ২০দলের বাইরেও অনেক রাজনৈতিক দল সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য প্রথম দরকার খালেদা জিয়ার মুক্তি।

বিএনপি নেতা বলেন, জনগণ এবং বিভিন্ন দলের মধ্যে ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক হতে হবে। আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোও বলছে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হতে হবে। খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে ছাড়া অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে পারে না। হতে দেওয়াও হবে না। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচনের নীল নকশা করা হচ্ছে। জনগণকে বারবার বোকা বানানো যায় না। এদেশে আর ৫ জানুয়ারির পুনরাবৃত্তি হবে না।

ড. মোশাররফ বলেন, তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে, ২০১৪ সালে কোনো নির্বাচন হয়নি। তাই হাসিনা সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে।

কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, মো. শাহজাহান, ডা. এজেএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, আব্দুস সালাম, মিজানুর রহমান মিনু, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, আবুল খায়ের ভূইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, কল্যাণ পার্টির সহ-সভাপতি শাহিদুর রহমান তামান্না, ন্যাপ ভাসানীর সভাপতি আজহারুল ইসলাম, জাগপার মহাসচিব খোন্দকার লুৎফর রহমান, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, শিরিন সুলতানা প্রমুখ।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। দুপুর ১২টায় বিএনপি নেতাদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমেদ।

আরও পড়ুন>>>>গণতন্ত্র ভেস্তে গেছে: এমাজউদ্দীন

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮
এমএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।