সোমবার (২৯ অক্টোবর) পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের সময় শারীরিক অসুস্থতার জন্য খালেদা জিয়া আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
>>>আরো পড়ুন...অরফানেজে হাইকোর্টের রায় মঙ্গলবার
এ মামলায় সাজা হয়েছে আরো তিন আসামির। তারা হলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
রায় ঘোষণার সময় খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে আদালতে উপস্থিত করা না হলেও অপর দুই আসামি মুন্না ও মনিরুলকে আদালতে হাজির করা হয়।
এদের মধ্যে খালেদা জিয়া গত ফেব্রুয়ারিতেই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছর কারাদণ্ড পেয়ে বন্দি রয়েছেন। হারিছ চৌধুরী পলাতক রয়েছেন। অপর দুই আসামি দীর্ঘদিন জামিনে থাকলেও সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে মুন্না ও মনিরুলকেও কারাগারে পাঠানো হয়।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা করা হয়। এ ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে মামলাটি করে দুদক।
তদন্ত শেষে ২০১২ সালে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শেষ হলে দুদকের পক্ষে এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়।
তবে শুনানি চলাকালে খালেদা জিয়া একাধিকবার আদালতে হাজির হতে অনিহা দেখান। সবশেষ গত ২০ সেপ্টেম্বরও তিনি আদালতে হাজির না হওয়ায় তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন বিচারক, একইসঙ্গে খালেদার অনুপস্থিতিতে বিচারিক কার্যক্রম চলবে বলে আদেশ দেন। এর বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে আবেদন করলে ১৪ অক্টোবর সেটি খারিজ হয়ে যায়। হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন খালেদা জিয়া। অন্যদিকে, মামলার রায় ঘোষণার জন্য ২৯ অক্টোবর দিন ধার্য করেন বিচারিক আদালত। সোমবার খালেদার করা লিভ টু আপিল সকালে খারিজ হওয়ার পর বিচারিক আদালত রায় ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৮
এজেডএস/এনটি