বৃহস্পতিবার (০১ নভেম্বর) বিকেল সোয়া তিনটায় মহানগর নাট্যমঞ্চে বিএনপি আয়োজিত গণঅনশন কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, খালেদা জিয়া যাকে আমরা গণতন্ত্রের মাতা হিসেবে চিহ্নিত করেছি।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের তরুণ-তরুণী ও জনগণের মধ্যে আজকে যে উন্মাদনা লক্ষ্য করছি, এই রকম আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে তাকে মুক্ত করার কোনো বিকল্প এদেশে নেই। তার জন্য আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে, সেই প্রস্তুতিকে আরও দ্বিগুণ করা, তিন-চারগুণ করা প্রয়োজন। আন্দোলনের মাধ্যম ছাড়া অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব নয়। এটা অনুভব করে আমাদের অগ্রসর হওয়া দরকার।
এমাজউদ্দীন আহমদ আরো বলেন, আমাদের একতাবদ্ধ হওয়া, ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। কোনোভাবে বিচ্ছিন্ন হওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের উদ্দেশ্য অত্যন্ত স্পস্ট, স্বচ্ছ। সুতরাং এই উদ্দেশ্য সাধনের জন্য যতটুকু পরিশ্রম করা প্রয়োজন তার জন্য প্রস্তুত থাকেন।
তিনি বলেন, আজকে সন্ধ্যায় যে সংলাপ হচ্ছে, এই সংলাপের মূল ব্যাপারটা সুস্থ, অবাধ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। তার আগে কিন্তু আরও কয়েকটা শর্ত আছে, খালেদা জিয়াসহ বাংলাদেশের আড়াই লাখের মতো ব্যক্তি কারাগারে আছেন। তাদের সবার মুক্তি অত্যন্ত জরুরি।
নির্বাচনের আগে সংসদকে ভেঙে দেওয়া প্রয়োজন, গণতান্ত্রিক দেশে যেটা নিয়ম, প্রত্যেকটি দেশে যেটি প্রচলিত আমাদের এখানে ব্যতিক্রম হবে কেন? প্রশ্ন করে এমাজউদ্দীন বলেন, নিরর্বাচন পরিচালনার জন্য সামরিক বাহিনীর নেতৃত্ব ও কতৃত্ব আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আলোচনার মধ্যে একথাগুলো আসবে।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা তৈরি থাকেন, যখনই প্রয়োজন হবে আন্দোলনের জন্য আত্মত্যাগ করার প্রস্তুতি নিয়ে আমাদের অগ্রসর হওয়া দরকার। একথা বলে আমি সবাইকে অনশন ভঙ্গ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সকাল দশটা থেকে বিকাল সোয়া তিনটা পর্যন্ত চলা এ অনশন কর্মসূচিতে বিএনপির সিনিয়র নেতারাসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।
বিকাল সোয়া তিনটায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে পানি পান করিয়ে ড. এমাজউদ্দীন অনশন ভঙ্গ করান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৮
এমএইচ/এমজেএফ