এছাড়া সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ১৫২ নেতাকর্মীর নামে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ওই মামলায় মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে নাইম মিয়া জিতু নামে একজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে দুপুরে মামলাটি দায়ের করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম।
মামলায় আসামিরা হলেন- বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিন, ইকবাল হোসেন, আব্দুল হাই রাজু, এম এ হালিম, আলী আকবর, তোফা, মনিরুজ্জামান রবি, মমতাজ উদ্দিন, পল্টু, সাদরিল, ইমাম হোসেন, রাজীব, মনিনুর রহমান বাবু, মাজুহিদুল ইসলাম দিদার, রিফাত, রাশেদুল হক, মোস্তফা কাজী, আব্দুল জব্বার, রাজু, রাইসুল ইসলাম ইমন, মাইনুদ্দিন, রাসেল, আশিকুর রহমান অনিক, জুয়েল, রাসেল, সাগর, আব্দুর রহমান, আকরাম, জুয়েল রানা, গোলজার হোসেন, জসিমসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১২০ জন।
মামলার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন শাহ পারভেজ।
অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানসহ সাতজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে তাকে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। এর আগে সোমবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে শহরের চাষাঢ়া থেকে সাখাওয়াতকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ।
সদর মডেল থানায় নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলাটি দায়ের করেন সদর মডেল থানার পিএসআই আব্দুল করিম। মামলার আরো ছয়জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এরা হলেন- বিএনপি নেতা ফারুক, সোহেল, মিনহাজ উদ্দিন মুন্না, মাহবুবুর রহমান, হোসেন কাজল ও কামাল উদ্দিন মৃধা।
মামলায় আরো আসামি করা হয়েছে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, সাবেক নগর বিএনপি নেতা হাসান আহমেদসহ অজ্ঞাতপরিচয় ২০ জনকে।
নাশকতার কাজে অর্থ সরবরাহকারী ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিভা হাসানকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
ফতুল্লা, রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁও থানায়ও আরো তিনটি নাশকতার মামলায় বিএনপির দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। সবগুলো মামলায় একই নাশকতার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৮
এএটি