বুধবার (০৭ নভেম্বর) বিকেলে ৭৭ নেতাকর্মীকে সদর ও ফতুল্লা থানার তিনটি নাশকতার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে শুনানি শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং আসছে রোববার রিমান্ডের শুনানির দিন ধার্য্য করেন।
সদর থানায় বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি দায়ের করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) মুজিবুর রহমান ও ফতুল্লা থানায় দু’টি মামলা দায়ের করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান ও এ থানার সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) তাজুল ইসলাম।
তিনটি মামলায়ই আসামিদের বিরুদ্ধে মিছিল, ভাঙচুর, সরকার উৎখাত, নাশকতা ও সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়। আসামিরা ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান ও আলামত জব্দের কথাও মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (০৬ নভেম্বর) ঢাকায় ঐক্যফ্রন্টের জনসভায় যোগ দিতে যাবার জন্য একটি বাসে করে নেতাকর্মীরা ঢাকায় যাচ্ছিলেন। সেখান থেকে তল্লাশি করে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে ৪৮ জন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীসহ বাসটি আটক করে পুলিশ। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফতুল্লার মুন্সিখোলায় ঢাকা-পাগলা-নারায়ণগঞ্জ সড়কে চেকপোস্ট এলাকা থেকে আরেকটি বাসসহ ২৯ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, তিন মামলায় ৭৭ জনকে রিমান্ডের শুনানির জন্য আদালত রোববার দিন ধার্য্য করেছেন। একইসঙ্গে সকলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৮
টিএ