তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে উন্নতি লাভ করেছে তাই তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে একেবারে সুস্থ হয়েছেন বলে বলা যাবে না।
বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে পুনরায় কারাগারে নেয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা জানান বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল হারুন।
তিনি বলেন, তার (খালেদা জিয়া) চিকিৎসার জন্য এখানে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। তার যেসব রোগ রয়েছে সে অনুসারে মেডিকেল বোর্ড চিকিৎসা দিয়েছে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি তাকে সুস্থ করে তোলার। তিনি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে ভুগছেন। এক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি রোগটি নিয়ন্ত্রণে আছে অথবা নাই। নিরাময় হয়ে গেছে এমন বলা যাবে না। এখনো না, আর যত শারীরিক রোগ রয়েছে সবগুলো নিয়ন্ত্রণে আছে।
খালেদা জিয়াকে কারাগারে নিতে গাড়িতে ওঠানোর সময় হুইল চেয়ারে করে নেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় তিনি হাঁটতে পারবেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হাসপাতাল পরিচালক বলেন, আমরা যে রূপ চিকিৎসা দিয়েছি সে অনুসারে আমরা আশা করছি তিনি হাঁটাচলা করতে পারবেন। আর তার রোগগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য চিকিৎসকদের পরামর্শগুলো মেনে চলতে হবে। এক্ষেত্রে কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি যেমন ফিজিওথেরাপি চালু থাকবে।
কারা কর্তৃপক্ষ যদি চায় তাহলে বিএসএমএমইউ’র পক্ষ থেকে কারাগারে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে জানিয়ে আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, এখানে তার যেসব টেস্ট করানো হয়েছে সেগুলোতে অস্বভাবিক কোন কিছু পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র এমআরআইতে বয়সজনিত কিছু সমস্যা লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া বয়সজনিত কারণে হাড়ক্ষয়ের সমস্যা রয়েছে।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পরিচালক বলেন, মেডিকেল ছাড়পত্র না নিয়ে কোন ভর্তিকৃত রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পায় না। খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড চালু থাকবে। তাকে যে কারাগারে নেওয়া হবে সেটা আমরা তাকে জানাইনি। যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৮
এমএএম/এমজেএফ