তিনি বলেন, মিথ্যা সাজানো মামলায় দেওয়া দণ্ডের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া আপিল করেছেন এবং তাতে তিনি স্থগিতাদেশ প্রার্থনা করেছেন। সে বিষয়ে আদালত এখনো সিদ্ধান্ত দেননি।
বুধবার (২৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, আদালত খালেদা জিয়ার আপিল গ্রহণ করেছেন। কোনো প্রকার শুনানি হয়নি, আদালত কোনো প্রকার রুল বা আদেশ দেননি। তাহলে অ্যাটর্নি জেনারেল কিভাবে বললেন, খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তাকে প্রশ্ন করতে চাই, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মহিউদ্দিন খান আলমগীর, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের বিচারিক আদালতে সাজা হলেও, আপিল চলমান অবস্থায় তারা নির্বাচন করেছেন কিভাবে?
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে উদ্দেশ্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল সাহেব আপনি তো আওয়ামী লীগের নেতা, আসন্ন সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন, আপনি কিভাবে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা থাকেন? সরকারি ক্ষমতার শক্তিতে বলীয়ান হয়ে আপনার মতো দলবাজ আগ্রাসী আইন কর্মকর্তা থাকলে ন্যায়বিচার পাওয়ার সব পথ বন্ধ হয়ে যাবে।
রিজভী আরো বলেন, বাংলাদেশে নজির হলো আপিল করেই নির্বাচন করা যাবে। কারণ, আপিলকে ধরা হয় চলমান বিচারের অংশ। আপিল বিভাগের রায় আছে, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর কে যোগ্য বা অযোগ্য সেটা ঠিক করবে ইসি। সেখানে যদি কোনো সংবিধান লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে তখন তা কেবল উচ্চ আদালতে আসতে পারে। এখন অ্যাটর্নি জেনারেল যা বলেছেন, তা ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দেয়ার শামিল। এমনকি তার বক্তব্য আপিল বিভাগের রায় দ্বারা সমর্থিত নয়। আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী যেকোনো রিটার্নিং অফিসার খালেদা জিয়ার তিনটি মনোনয়নপত্রই বৈধ বলে ঘোষণা দিতে পারেন। আইনে তাতে কোনো বাধা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৮
এমএইচ/এমজেএফ