সোমবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে শিয়ালকোল ইউনিয়নের ধুকুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দায়ী করা হলেও তা অস্বীকার করেছে স্থানীয় দলটির নেতারা।
ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী বাংলানিউজকে জানান, রাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী রউফ, পরান ও ছানুর নেতৃত্বে শহর থেকে বহিরাগত আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার গরুর খামারে হামলা চালায়। এ সময় তারা বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে খামারের ৩টি ঘর এলোপাতাড়ি কুপিয়ে বিধ্বস্ত করে। খামারের পাশে একটি এনজিও অফিসে থাকা আলমারি ও চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করা হয়। এরপর খামারের পেছনে খড়ের গাদায় অগ্নিসংযোগ করার পর আমার বাড়িতে হামলা চালায়। ঘরে ঢুকে ভাঙচুর করে ঘরের আসবাবপত্র।
ইসহাক আলী অভিযোগ করে আরও বলেন, হামলাকারীরা ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়।
ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুর-ই আলম মুন্সী বলেন, বিকেল থেকেই বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি-নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও মারপিট চালিয়েছে আওয়ামী লীগের লোকজন। এরই একপর্যায়ে দলের নেতাকর্মীদের মাঝে আতংক সৃষ্টি করতে যুবদল নেতা ইসহাকের বাড়িতে হামলা করা হয়েছে।
শিয়ালকোল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম আজম তালুকদার বাবলু ভাাংচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সোমবার ওই এলাকায় যায়নি।
সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক (ডিএডি) আব্দুল হামিদ বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। একটি খড়ের গাদা সম্পূর্ণ পুড়ে গেলেও কোনো ঘরে আগুন লাগেনি।
সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু জাফর বাড়িঘর ভাঙচুরের বিষয়টি স্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
এএটি