বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) মধ্যরাত থেকে শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর পর্যন্ত জীবননগর উপজেলার পাঁচটি স্থানে হামলা চালিয়ে এ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান খাঁন বাবুর জীবননগর উপজেলা শহরের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে ১০ থেকে ১৫ জনের অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়।
জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ‘শুধু তাদের প্রধান নির্বাচনী অফিস নয়, ওই রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত উপজেলা শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ড, ৫ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডসহ পিয়ারাতলা মোড়ে তাদের নির্বাচনী অফিসগুলোতে ধারাবাহিকভাবে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ’
এসব ঘটনায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর লোকজন জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন জীবননগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খাঁন। তিনি বলেন, ‘প্রচারণা শুরুর প্রথম দিন থেকেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ধারাবাহিকভাবে আমাদের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর, দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হুমকি-ধমকি অব্যাহত রেখেছে। ’
বিএনপির প্রার্থী মাহমুদ হাসান খাঁন বাবু বাংলানিউজকে বলেন, ‘তার নির্বাচনী এলাকায় সরকারি দলের হামলার কারণে তারা ঠিকমত নির্বাচনী কাজ করতে পারছেন না। এসব হামলা অগ্নিসংযোগের বিবরণ তুলে ধরে শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করবেন। ’
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা (জেলা প্রশাসক) গোপাল দাস বাংলানিউজকে জানান, বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখা হবে। কোনোভাবেই নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্নকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮
জিপি