ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

লিফটে বিএনপি নেতার কলার ধরলেন ফখরুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৯
লিফটে বিএনপি নেতার কলার ধরলেন ফখরুল

বগুড়া: বগুড়ায় লিফটের মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক বিএনপি নেতার কলার চেপে ধরার ছবি ছড়িয়েছে। বাকবিতণ্ডার জেরে ফখরুল বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলামের (ভিপি) কলার ধরেছেন বলে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন বললেও বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সাইফুলই।

বুধবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে বগুড়া শহরতলীতে অবস্থিত মমো ইন হোটেলে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগদানের আগ মুহূর্তে হোটেলের লিফটে এই ঘটনা ঘটে।

ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, সাইফুলের জ্যাকেটের কলার চেপে ধরে ফখরুল ক্ষুব্ধ চেহারায় কিছু বলছেন তাকে।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, তাদের মধ্যে সেসময় বাকবিতণ্ডা হচ্ছিলো।
 
তবে যোগাযোগ করা হলে সাইফুল ইসলাম জ্যাকেটের কলার চেপে ধরার বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি বেশ কয়েকদিন ধরে ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় অবস্থান করছিলাম। এই ফাঁকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকার ফেরার পথে বুধবার (২৩ জানুয়ারি) বগুড়ায় দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করার কথা বলেন। ’

‘সেই হিসেবে আমি দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁনকে বগুড়ায় মতবিনিময় সভা আয়োজন করার কথা বলি। পাশাপাশি মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) রাতে ঢাকা থেকে আমি বগুড়ায় ফিরে আসি। কিন্তু জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন আমাকে মতবিনিময় সভার বিষয়ে অবগত করেননি। মহাসচিবকে নিয়ে হোটেলের একটি রুম থেকে আরেকটি রুমে লিফটযোগে যাওয়ার সময় বিষয়টি আমি দলের সাধারণ সম্পাদককে বলি। এসময় জয়নাল আবেদীন চাঁন আমাকে বলেন, ‘তুমিতো ঢাকায় ছিলে। তোমাকে কী বলতে হবে?’ তখন আমি উত্তরে বলি, ‘আমি ঢাকায় থাকি বা দিল্লি থাকি। তাই বলে জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে আমি সভার বিষয়ে জানবো না?’ বিষয়টি নিয়ে জয়নাল আবেদীন চাঁনের সঙ্গে কথা বললে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। তখন লিফটে থাকা দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দু’জনকে থামিয়ে দেন। এসময় তার হাত আমার জ্যাকেটের কলারের কাছে চলে আসে। ’

পরে এ নিয়ে বিবৃতিও দেন বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম। তিনি খবরটিকে ‘ভিত্তিহীন’ দাবি করে এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদও জানান।

বিষয়টি জানতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদেরও মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ কারণে বিষয়টি নিয়ে অন্য কোনো নেতারও বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

ওই ঘটনার পরে মমো ইন হোটেলে জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সদর উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঠাকুরগাঁও থেকে সড়কপথে ঢাকায় ফেরার পথে ওই হোটেলে যাত্রাবিরতি করেন বিএনপি মহাসচিব।  

বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাফতুন আহম্মেদ খান রুবেলের পরিচালনায় এতে বক্তব্য দেন- জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন, বগুড়া পৌরসভার মেয়র ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, বিএনপি নেতা আলী আজগর তালুকদার হেনা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৯
এমবিএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।