ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

আন্দোলনে নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায় করতে হবে: মোশাররফ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৯
আন্দোলনে নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায় করতে হবে: মোশাররফ বিএনপির মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখছেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন | ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, এই সরকার ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা মামলায় আমাদের নেত্রীকে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই আমাদের নেত্রীকে কারাগারে নিয়েছে, এটা আজ প্রমাণিত হয়েছে। আজকে সারাবিশ্বের মানুষ এই সরকারকে গণতান্ত্রিক সরকার বলে না। আর অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক সর্বক্ষেত্রে তার নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে।

বুধবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে প্রথম সংসদ অধিবেশন বসার প্রতিবাদে বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

দলীয় নেতাকর্মী ও জনগণের প্রতি আহবান জানিয়ে ড. মোশাররফ বলেন, দেশ ও জনগণকে রক্ষা করার জন্য আসুন আমরা আগামী দিনে আর একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায় করতে যেখানে যা করা প্রয়োজন, তার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করি।

দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে, আন্দোলন বেগবান করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায় করি।

স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আজকে যে সংসদ বসতে যাচ্ছে এই সংসদ জনগণের সংসদ নয়, জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। যে নির্বাচন হয়ে গেলো এই নির্বাচনের তথ্যভিত্তিক একটি স্বেতপত্র আমরা বের করবো। তাতে আপনারা দেখবেন, এই নির্বাচনে এদেশের মানুষ ভোটের অধিকার হারিয়েছে। ৫ থেকে ৭ শতাংশ মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে পেরেছে।

তিনি বলেন, এই নির্বাচনটা করেছে—প্রশাসন, পুলিশ ও সরকারের বাহিনীর লোকজন। এই নির্বাচনে জনগণের কোনো সম্পর্ক ছিল না। আমরা হতবাক হয়েছি। আমি তো নির্বাক হয়ে গিয়েছিলাম। এরকম আমরা কোনোদিন প্রত্যাশা করিনি, যেটা এবার দেখলাম। আমরা এটা শুধু প্রত্যাখ্যানই করিনি অবিলম্বে নতুন একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নিরাবাচন হতে হবে। তাহলে এদেশের মানুষ আবার তাদের ভোটের অধিকার ফিরে যাবে। তাহলে একটি কার্যকর সংসদ আমরা দেখতে পারবো। আর সেটা করার জন্য সারাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। যারা ভোট দিতে বঞ্চিত হয়েছেন, মা-বোনেরা এবং আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী যারা এখন পর্যন্ত জেলে আছেন বা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তাদের সবাইকে পুনর্বাসন করে নতুন করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে।

সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বাতিল দাবি করে তিন থেকে ৬ মাসের মধ্যে নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করার আহবান জানান মওদুদ আহমদ।

৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় দিন উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান ব‌লেন, এই দিনে এমন একটি সংসদ বসতে যাচ্ছে, যে সংসদের সদস্যরা জনগণের প্রতিনিধি নয়, তারা  বিনাভোটের প্রতিনিধি। আমরা এটা বলবো না ৩০ তারিখে নির্বাচন হয়েছে। আমরা বলবো ২৯ তারিখ রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে আজকে এই সংসদ গঠন করা হয়েছে। এটা আমার কথা নয়, এটা বিশ্বের বড় বড় মিডিয়া—ওয়াশিংটন পোস্ট, নিউ ইয়র্ক টাইমস, সিএনএন, বিবিসিসহ বিশ্বের বড় বড় মিডিয়ার কথা। তারা বলেছে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হয়নি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোট ডাকাতি হয়েছে দাবি করে মঈন খান আরও ‌বলেন, একাদশ সংসদ কোনো জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। তারা ভোট ডাকা‌তির মাধ্য‌ দি‌য়ে নির্বা‌চিত হয়েছেন। যারা ভোট ডাকাতির মধ্য দিয়ে সংসদ সদস্য হয়েছেন তারা জনগণের প্রতিনিধি নয়। তারা সন্ত্রাসের প্রতিনিধি। এই নির্বাচন দেশের ১৭ কোটি মানুষ মেনে নেয়নি, নেবেও না।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৯
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।