তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘লন্ডনে বলেছিলেন’ খালেদা জিয়া কোনোদিনই কারাগার থেকে বের হতে পারবেন না। তিনি দেশে এসে সেটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বাস্তবায়ন করছেন।
শনিবার (১৮ মে) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জমিরউদ্দিন সরকার এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কেরানীগঞ্জে আদালত স্থানান্তরের এসআরও জারি করা হয়েছে। এই নির্দেশ কিসের জন্য এবং কার জন্য করা হচ্ছে তা জনগণের বুঝতে বাকি নেই। দেশ কর্তৃত্ববাদী শাসনের এক মহাশৃঙ্খলের মধ্যে আবদ্ধ হয়েছে বলেই ন্যায়বিচার নিরুদ্দেশ রয়েছে। আর সে কারণে অন্যায় এবং অবিচারের এক চরম বহিঃপ্রকাশের ফলশ্রুতি হচ্ছে ‘দেশনেত্রী’ খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দেওয়া।
অবিলম্বে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং তার পছন্দের হাসপাতালে সুচিকিৎসার জোর দাবি জানিয়ে জমিরউদ্দিন সরকার বলেন, প্রায় এক বছর তিন মাসের অধিক সময় খালেদা জিয়াকে একটি সাজানো মামলায় (জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট) নির্জন কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নানা জটিল রোগে ভুগছেন। ইতোপূর্বে তার দুই হাঁটু প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। তিনি লন্ডনে চোখের অপারেশনও সম্পন্ন করেছেন। চিকিৎসকদের পরিভাষায় তিনি একজন বিশেষ পরিচর্যাসাপেক্ষ রোগী। সে হিসাবে সুচিকিৎসার স্বার্থে তার একান্ত ব্যক্তিগত পরিচর্যার সব সুবিধা নিশ্চিত করা জরুরি, যা সব সভ্য, গণতান্ত্রিক ও মানবিকতাবোধসম্পন্ন দেশে নিশ্চিত হয়।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা সব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, প্রতিহিংসাবশত দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, শুধু খালেদা জিয়াকে হয়রানি ও বিপর্যস্ত করার জন্য এসব মামলা দেওয়া হয়েছে। কোনো মামলা ও সাজা দিতে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। এর পেছনে প্রতিহিংসা কাজ করেছে। এখন দেশে-বিদেশে বিভিন্ন অধিকার গ্রুপ, মানবাধিকার সংস্থা এমনকি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সরকারগুলোর পক্ষ থেকেও খালেদা জিয়ার মামলাকে সাক্ষ্য-প্রমাণহীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৯
এমএইচ/এইচএ/