ঢাকা: ১৩৩ পৃষ্ঠার বিশাল বাজেট বক্তৃতার কিছু অংশ পঠিত বলে গণ্য ধরে নেওয়ার অনুমতি নিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বক্তৃতার সপ্তম অধ্যায়ের তৃতীয় অংশের শেষভাগে পড়ছিলেন তিনি।
চতূর্থ অংশে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এই বক্তৃতায় ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়ন, ইন্টারনেট সেবার কথা রয়েছে। ২০১৬ সালের মহাকাশে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট (বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট) উৎক্ষেপনের কথা বলেন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ডাক ও টেলি যোগাযোগ বিভাগের জন্য ৩ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা বরাদ্দেরও ঘোষণা রয়েছে।
পঞ্চম অংশে রয়েছে কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন প্রসঙ্গ। এতে কৃষি গবেষণা, মৎস ও প্রাণি সম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র বিমোচনে পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী জনপদ গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। এই খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৪০ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা।
শিল্পায়ন ও বাণিজ্য নামে ষষ্ঠ অংশটিও পড়ছেন না অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। এই অংশে গুরুত্ব পেয়েছে শিল্প খাতের প্রসার, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ, পর্যটন শিল্পের প্রসার, পাট শিল্পের গৌরব পুনরোদ্ধার, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্ট, সীমান্ত হাট প্রসঙ্গ।
এছাড়াও সপ্তম অংশে আঞ্চলিক ও উপআঞ্চলিক সহযোগিতা, অষ্টম অংশে জলবায়ূ পরিবর্তন ও পরিবেশ প্রসঙ্গ গুরুত্ব পেয়েছে। এই অংশে অর্থমন্ত্রী বন সম্প্রসারণ ও জীব-বৈচিত্র সংরক্ষণ, ইকো-ট্যুরিজম, পরিবেশবান্ধব কার্যক্রম, পরিবেশ রক্ষায় পাটের ব্যবহার ও দুর্যোগ মোকাবেলার কথা বলেছেন।
সপ্তম অধ্যায়ের নবম অংশে অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় আবাসন ও পরিকল্পিত নগরায়ন প্রসঙ্গ। এতে তিনি নগরায়নে সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনা, রাজধানী ঢাকার সৌনর্যবর্ধন, আবাসন সুবিধার সম্প্রসারণ, গৃহনির্মাণে ঋণ, ঢাকার জিরো পয়েন্ট থেকে ২৫ মাইল দূরে একটি কনভেনশন নগর গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে।
এই অধ্যায়ের দশমাংশে অর্থমন্ত্রী তুলে ধরেছেন তথ্য, সংস্কৃতি, ধর্ম ও ক্রীড়া প্রসঙ্গ। এতে বিশ্ব ক্রিকেট অঙ্গনে বাংলাদেশ আজ সে শক্তিশালী অবস্থান নিশ্চিত করেছে সে কথা তুলে ধরতে ভোলেন নি অর্থমন্ত্রী। অদম্য খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হিসেবে ফুটবলের কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী খেলাটির উন্নয়নে শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় ১৫ কোটি টাকার একটি থোক বরাদ্দেরও ঘোষণা রয়েছে বাজেট বক্তৃতায়।
পঠিত বলে গণ্য সপ্তম অধ্যায়ের সবশেষ অংশ জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা। এই অংশ পুলিশ বাহিনীকে শক্তিশালী করার জন্য ৫০ হাজার নতুন পদ সৃষ্টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময় ১৭৪৩ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৫
এমএমকে/