রংপুর: চলতি অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রংপুর চেম্বার অব কমার্স মানব সম্পদ উন্নয়ন, কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, তথ্য প্রযুক্তি খাতে কর অবকাশ-সুবিধা বৃদ্ধি, নতুন শিল্প স্থাপনে প্রনোদনা, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, সড়ক, রেলপথ ও বন্দর ব্যবস্থাপনা, সামাজিক সুরক্ষা, শিক্ষা খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে সামষ্টিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, ঋণের সুদের হার কমানো, বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ক হ্রাসকে সাধুবাদ জানিয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় থোক বরাদ্দ, হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু শিল্পের বিকাশে যন্ত্রপাতি, খাদ্য এবং কৃত্রিম প্রজননের উপকরণকে শুল্কমুক্ত ঘোষণা, দেশীয় রেশমশিল্পের সুরক্ষায় রেশমপণ্যে আমদানি ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি, প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা, কৃষি উন্নয়নে ভর্তুকি প্রদান, দেশের সব উপজেলায় আয়কর অফিস স্থাপন ও সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ছিটমহলবাসীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে আলাদা থোক বরাদ্দ ইত্যাদি ক্ষেত্রে গৃহীত বাজেট প্রস্তাবগুলোকে বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাস্তবমুখী ও জনকল্যাণমূলক বলে অভিহিত করে তারা।
এছাড়া জেলা বাজেটকে আরো শক্তিশালী করার পাশাপাশি শিশুদের জন্য আলাদা বাজেট ঘোষণা এবং গ্রামের মানুষকে সঞ্চয়ের সুবিধা দিতে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা, অবহেলিত এ অঞ্চলে তথ্য প্রযুক্তি শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে রংপুর বিভাগে হাইটেক ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপন ঘোষণার প্রস্তাবকে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছে রংপুর চেম্বার।
দেশের কর্মক্ষম বেকার জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে দেশী বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই এ বিবেচনায় স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশকে বিনিয়োগে আকর্ষণীয় করার লক্ষ্যে কর্পোরেট কর হার কমানোর যে প্রস্তাব বাজেটে উল্লেখ করা হয়েছে রংপুর চেম্বার তাকে স্বাগত জানায়।
তবে রংপুর বিভাগে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইকোনমিক জোন) বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব না থাকায় এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে বলে রংপুর চেম্বার আশংকা করেছে।
দেশের যেসব অঞ্চলের জনগোষ্ঠী প্রাকৃতিক গ্যাসের সুযোগ- সুবিধা থেকে বঞ্চিত সেসব অঞ্চলে বিশেষ করে রংপুর বিভাগে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের ন্যায় জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি বাজেটে অর্ন্তভুক্ত থাকা উচিত ছিল বলে রংপুর চেম্বার মনে করে।
এ লক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে প্রকল্প প্রণয়সহ প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের দাবি জানায় রংপুর চেম্বার।
এছাড়া বেশ কিছু পণ্য ও সেবায় মূসকের হার বৃদ্ধিসহ মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভাতার ওপর করারোপ, মোবাইল কোম্পানির সিম/রিম কার্ডের সেবার শুল্ক আরোপ, মোবাইল ফোনে বেশি কথা বললে বেশি ভ্যাট আরোপের বাজেট প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট খাতে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করবে বলে উল্লেখ করে রংপুর চেম্বার।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০১৫
আরআই/