ঢাকা: সরকারি বিনিয়োগের প্রধান হাতিয়ার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) এবং সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ এডিপির সুফল বাস্তবায়ন করা। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বৃহৎ দশটি মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়ন তদারকিতে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বৃহস্পতিবার (০৪ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৪-১৫ সালের সম্পূরক ও ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
এডিপি প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ধীরগতিসম্পন্ন ৫০টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে ব্যবস্থা নিয়েছি। বৈদেশিক সাহায্য ছাড়ের গতি কম এমন সব প্রকল্প চিহ্নিত করে ত্রৈমাসিক ত্রিপক্ষীয় সভায় দ্রুত সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছি। এসব পদক্ষেপের ফলে এডিপি বাস্তবায়নের হার বৃদ্ধি পেয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা মনে করি এডিপি বাস্তবায়নের গতি বৃদ্ধি করার জন্য মন্ত্রণালয়ের আরও সুযোগ রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য হলো প্রকল্প সাহায্যের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং এডিপির পূর্ণ বাস্তবায়ন। পাশাপাশি, এর গুণগত মান নিশ্চিত করার দিকেও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
এডিপি বাস্তবায়ন সক্ষমতা বাড়ানো এবং অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে অত্যধিক ব্যয়ের প্রবণতা হ্রাস করতে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সমন্বিত উদ্যোগ জোরদার করা হবে। এছাড়াও উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রাধিকার নির্ধারণ, নিয়মিত প্রকল্প পরিদর্শন ও বাস্তবায়নের অগ্রগতি পরিবীক্ষণের বিষয়েও গুরুত্ত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে আবুল মাল আবদুল মুহিত জানান।
অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় আরও বলেন, দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) জন্য ৯৭ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ব্যয় (জিওভি) সাড়ে ৬২ হাজার কোটি টাকা ও প্রকল্প সাহায্য সাড়ে ৩৪ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব তহবিলের তিন হাজার ৯৯৬ কোটি টাকা দিয়ে এডিপির মোট আকার দাঁড়ায় এক লাখ ৯৯৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৫
এমআইএস/এসইউ