বিগত অর্থ বছরে বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয় ১৫ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। যা সংশোধিত বাজেটে ১৪ হাজার ৫৬১ কোটি টাকায় গিয়ে দাঁড়ায়।
প্রস্তাবিত বাজেটে চারটি ওয়ার্কওভার কূপ খনন, ৫৪ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইননির্মাণ, গ্যাস ক্ষেত্র থেকে প্রাপ্ত কনডেনসেড ২৫ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন লিটার এলএনজি উৎপাদন। নতুন গ্যাস ক্ষেত্র আবিস্কারের জন্য বাপেক্স ও আইওসি (আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানি) কর্তৃক ৩ হাজার লাইন কিলোমিটার ২-ডি এবং ৫৫০ বর্গ কিলোমিটার ৩-ডি সাইসমিক সার্ভে করা।
ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড’র ক্রড অয়েল পরিশোধন ক্ষমতা ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন থেকে ৪ দশমিক ৫ মিলিয়নে উন্নীতকরণ। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) আমদানিতব্য ক্রড অয়েল ও ডিজেল জাহাজ থেকে সরাসরি পাইপের মাধ্যমে খালাসের জন্য বঙ্গোপসাগরে পাইপ লাইন নির্মাণ।
গ্যাস ক্ষেত্রগুলো হতে প্রাপ্ত গ্যাসের চাপ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাওয়ায় একটি কমপ্রেসার স্থাপন। গ্যাসের অপচয় রোধে ৯৫ হাজার ১২৫ টি প্রি-পেইডি মিটার স্থাপন।
বিদ্যুৎ বিভাগে আমদানি নির্ভর এলএনজি ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, ২০২১ সালের মধ্যে কয়লাভিত্তিক ৬ হাজার ৮’শ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, ভারত থেকে আরও ৫৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি, নবায়ণযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৫’শ মেগাওয়াটে উন্নীতকরণ, বিদ্যুতের সিস্টেম লস ১০ দশমিক ৯৬ শতাংশ থেকে দশমিক ১১ ভাগ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের জন্য কোনো ভর্তুকি রাখা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৭
এসআই/ওএইচ/এসএইচ