শুক্রবার (০২ জুন) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় ফুটপাতে ঝুড়িতে আম বিক্রি করছিলেন সিকিম আলী। দাম জানতে প্রশ্নে হাসিমুখে উত্তর দিলেন।
বাজেটে কি হলো তা নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন ক্ষুদ্র এ ফল বিক্রেতা। বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি বছরই বাজেট আসে যায়, কিন্তু আমাদের ভাগ্য বদলায় না। গত প্রায় ২০ বছর ধরে ঝুড়িত কইরা এ ফলই বেচি। তাই বাজেট নিয়া ভাবি না। বরং বাজেট গেলে আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ে এ টুকুনই জানি।
কারওয়ান বাজারের পেট্রোবাংলার গলিতে রিকশায় বসে আছেন মো. ফরিদুল ইসলাম। কারওয়ান বাজার থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত রিকশা চালান তিনি। বাজেটের বিষয়ে তার ভাবনা জানতে চাইলে বলেন, আমি রিকশা চালাই, বাজেট দিয়া আমার কি হবে। রিকশায় প্যাডেল মারলে ঘরে ভাত রান্না হয়, নয়তো না। বাজেটে আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না, তাই জানিও না।
ফুটপাতে গেঞ্জি বিক্রি করছেন পারভেজ। বাজেটের বিষয়ে তিনি বলেন, বাজেট দেইখ্যা সময় নষ্ট করার মতো অবস্থা আমাদের নাই। আমরা যা চামু তা তো আর বাজেটে হবে না। কোনো জিনিসের দাম বাড়লে তা বাজারে গেলেই টের পাই।
সুগন্ধি বিক্রেতা মো. ইউনূসের কাছে বাজেট মানেই নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি। ফুটপাতে সুগন্ধি বিক্রি করে সংসার চলে যে মানুষটির, তার জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি মানে মরার উপর খাড়ার ঘা। ইউনূস বলেন, সারাদিন আতর, সেন্ট এসব বিক্রি করি। প্রতি বছরের মাঝামাঝি বাজেট যাওয়ার পর বাসা ভাড়া থেকে শুরু করে খাবারের সব দাম বেড়ে যায়। এগুলো নাকি বাজেটে বাড়ে। বাজেট আমাদের জন্য নয়, উপরতলার মানুষের জন্য।
বৃহস্পতিবার (০১ জুন) ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের জন্য বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ বছর বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৪ লাখ ২শ’ ৬৬ কোটি টাকা। গত অর্থ বছরের (২০১৬-১৭) বাজেটের আকার ছিলো তিন লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। এবারের বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ৯৮ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৭
ইউএম/জেডএস