শুক্রবার (০২ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গুড়ো দুধ একএক জায়গায় একেক রকম বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে গুলশানে এক সুপার শপের কর্ণধার বাংলানিউজকে বলেন, বাজেটে গুড়া দুধের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হলেও গত দু’দিন আগেই সব ধরনের গুড়ো দুধে কেজি প্রতি ৫-১০ টাকা বেড়েছে। এটা প্রতিবছরই বাজেট দিলেই দাম বাড়ে। তবে সামনে আরও দাম বাড়বে।
ইতোমধ্যে বেড়েছে গ্যাসের দাম। মার্চ থেকে প্রথম দফায় এক চুলার জন্য গ্যাসের দাম মাসে ৬শ থেকে বেড়ে ৭৫০ এবং দু’চুলা ৬৫০ থেকে করা হয় ৮০০ টাকা। দ্বিতীয় দফায় গতকাল থেকে এক চুলার গ্যাস ৯শ টাকা এবং দু’চুলার গ্যাসের দাম ৯৫০ টাকা করা হয়েছে। অপরদিকে সিএনজিচালিত গ্যাসের দামও বেড়েছে।
কথা হয় সিএনজি চালক আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে (৪৫) তিনি বাংলানিউজকে বলেন, গতকাল থেকে গ্যাসের দাম বেড়েছে। গ্যাসের দাম বাড়ার কারণে এখন প্রতিদিন ১শ টাকার মতো বেশি চলে যাবে। আর মাস শেষে পকেট থেকে চলে যাবে ৩ হাজারের বেশি টাকা। কিন্তু জনগণের পকেট কেটে কি লাভ সরকারের। আমরা যদি না বাঁচি তাহলে দাম বাড়িয়ে কি হবে।
আপেল ও আঙ্গুরের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ২০টাকা। গুলশান কাঁচা বাজরে গিয়ে দেখা যায়, আপেল ও আঙ্গুরের দাম বেড়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার গালা আপেল বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা। যা গতদিন ছিলো ১৭০ টাকা। ইন্ডিয়ান আপেল বিক্রি হচ্ছে ৩শ টাকা, যা গতকাল ছিলো ২৮০ টাকা। অস্ট্রেলিয়ান আঙ্গুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪শ টাকা। যা গতকাল বিক্রি হয়েছে ৩৭০-৮০ টাকা।
গুলশানের বিল্লাল ফ্রুটসের কর্ণধার রহুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, সকালে মাল কিনতে যেয়ে দেখি কার্টনে ৩শ-৪শ টাকা বেড়ে গেছে। সেই হিসেবে কেজি প্রতি আপেল ও আঙ্গুরে বেড়ে গেছে ২০ টাকার বেশি। ক্রেতাদের কাছে বেশি দাম চাইলেই ঝগড়ার সৃষ্টি হচ্ছে, কিন্তু আমাদের কি করার আছে। যেমন দামে ক্রয় করি তেমনই তো বিক্রি করব।
ইমিটেশন জুয়েলারিরও দাম বেড়েছে। কেননা গতকাল বাজেটে পণ্যটির সম্পূরক শুল্ক ২০ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ভ্যাটহারও বাড়ানো হয়েছে। ফলে বাজারে ইমিটেশন জুয়েলারির সব পণ্যে দাম বেড়ে গেছে।
এ বিষয়ে গুলশানে পিয়ার্ল প্যালেসের মালিক নদী বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের সবকিছু বাইরের দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। বলা যায় আমরা এক প্রকার আমদানি নির্ভর ব্যবসা করি। বর্তমানে আমরা ৪ শতাংশ ভ্যাট নিয়ে থাকি। কিন্তু নতুন আইনে ১৫ শতাংশ ভ্যাটের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সুতরাং সবদিকে থমথমে পরিস্থিতির কারণেই মার্কেটে দাম বেড়েছে।
অন্যদিকে, গতকাল বাজেট অনুমোদনের পর থেকে বাজারে সব ধরনের সিগারেটের সংকট দেখা দিয়েছে। বেনসন প্রতি শলাকা বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা, গোল্ডলিফ বিক্রি হচ্ছে ৯ টাকা, মালবোরো বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা, নেভি বিক্রি হচ্ছে ৬ টাকা, ডারবি বিক্রি হচ্ছে ৩ টাকা, স্টার বিক্রি হচ্ছে ৬ টাকা ও শেখ সিগারেট বিক্রি হচ্ছে ৩ টাকা। ফলে সিগারেটের শলাকা প্রতি বেড়ে গেছে ১ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৭
এসজে/এসএইচ