ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

টেলিকম খাতের বাজেট পুনর্বিবেচনার অনুরোধ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৫ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০১৮
টেলিকম খাতের বাজেট পুনর্বিবেচনার অনুরোধ

ঢাকা: দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সত্ত্বেও প্রস্তাবিত বাজেটে কোনো সহায়ক পরিবর্তন না থাকায় মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অফ বাংলাদেশ (এমটব) অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তারা সরকারকে প্রস্তাবিত বাজেট পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছে।

জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার (৭ জুন) অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন।  
 
মোবাইল ফোন উৎপাদন কার্যক্রমকে প্রণোদনা প্রদানের উদ্দেশ্যে উৎপাদন পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) অব্যাহতি প্রদান এবং আমদানি পর্যায়ে ২ শতাংশ সারচার্জ আরোপের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।

মোবাইল ফোন উৎপাদনে কাঁচামালের উপর শুল্ক হ্রাসেরও প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
  
প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী বলেন,বিগত অর্থবছরে স্থানীয় পর্যায়ে সেলুলার ফোন উৎপাদন ও সংযোজনে রেয়াতি সুবিধা প্রদানের কারণে একাধিক প্রতিষ্ঠান সেলুলার ফোন উৎপাদন ও সংযোজন শুরু করেছে। এ খাতে সেলুলার ফোন উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কতিপয় কাঁচামালে শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব করছি।
 
বাজেটের আগে এমটব সরকারের কাছে বেশকিছু প্রস্তাব করেছিল, যার কোনটিই প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতিফলিত হয়নি বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় এমটব।
 
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন বাস্তবায়নের জন্য অপারেটররা ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট তুলে নেওয়া; নতুন ও পুরাতন সিম প্রতিস্থাপনের উপর ১শ’ টাকা ট্যাক্স তুলে দেওয়া; মোবাইল শিল্পের নিরবিচ্ছিন্ন উন্নতির জন্য অপারেটররা বিদ্যমান তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে ৪৫ শতাংশ কর কমানো; অলাভজনক মোবাইল কোম্পানির মোট আয়ের উপর ধার্য সর্বনিম্ন দশমিক সাত পাঁচ শতাংশ কর্পোরেট কর তুলে দেওয়া; দেশীয় কোম্পানিগুলো স্মার্টফোন উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জনের আগ পর্যন্ত এর উপর বিদ্যমান প্রায় ৩১ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমানোর আবেদন করে। কিন্তু এর উপর আরও ২ শতাংশ করারোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
 
এমটব মহাসচিব টি আই এম নূরুল কবীর বলেন, সরকারি খাতের উল্লেখযোগ্য অংশীদার ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের প্রধান অনুঘটক হিসেবে মোবাইল অপারেটররা সরকারের কাছে বাজেটে ইতিবাচক ভূমিকা আশা করে। বিগত কয়েক বছর ধরে মোবাইল শিল্প খাত গড়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশ হারে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) অবদান রাখছে।
 
তিনি আরও বলেন, মোবাইল খাত একাধারে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ ও সরকারের রাজস্ব আয়ের অন্যতম বৃহৎ উৎস। দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য এই শিল্পের টেকসই উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
 
দেশের মোবাইল শিল্প খাতে বিশ্বের সর্বনিম্ন কল রেট থাকার পরেও এই খাতে অত্যন্ত উচ্চ কর বিদ্যমান। মোবাইল অপারেটররা তাদের মোট আয়ের প্রায় অর্ধেক সরকারকে রাজস্ব হিসেবে প্রদান করছে। সরকার যদি এই খাতে সহায়ক ভূমিকা পালন না করে তবে বিদ্যমান কর কাঠামোতে গ্রাহক পর্যায়ে মানসম্পন্ন সেবাদান কঠিন হয়ে পড়বে। তাছাড়া উচ্চ কর এই খাতে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করবে।
 
বিজ্ঞপ্তিতে মোবাইল অপারেটরদের পক্ষ থেকে সরকারকে কর প্রস্তাবনা পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে এমটব।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৮
এমআইএইচ/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।