নতুন অর্থবছরের বাজেটে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর কারণে সব ধরনের সিগারেটের দাম বাড়বে। সর্বনিম্ন স্তরের দশ শলাকার দাম ৩৭ টাকা, মধ্যম স্তরের দশ শলাকার দাম ৬৩ টাকা, উচ্চ স্তরের দশ শলাকার দাম ৯৩ ও ১২৩ টাকা।
হেলিকপ্টারের সেবামূল্যের ওপর ভ্যাটের পাশাপাশি সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে নতুন অর্থবছরের বাজেটে। ফলে হেলিকপ্টারে যাতায়াতের ক্ষেত্রে খরচ বাড়তে পারে। যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক, লরি, অ্যাম্বুলেন্স ও স্কুলবাস ছাড়া সব ধরনের পরিবহন রেজিস্ট্রেশন, রুট পারমিট নবায়ন, ফিটনেস সনদ, মালিকানা সনদ নিতে এবং নবায়ন করতে বিআরটিএ নির্ধারিত সেবামূল্যের ওপর ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের কারণে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ফি বাড়বে।
মোবাইল ফোন সিম কার্ড, রিম কার্ডের ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে মোবাইলে কথা বলার খরচ বাড়বে। আইসক্রিম এর ওপর ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ফলে দাম বাড়বে সব ধরনের আইসক্রিমের।
র-সুগার ও রিফাইন সুগারের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। যা আগে ছিল ২০ শতাংশ। ফলে চিনির দামও বাড়তে পারে। প্রতি মেট্রিক টন সুগারে দাম ২ হাজার থেকে বেড়ে ৩ হাজার করা হয়েছে। আর রিফাইন সুগারের দাম সাড়ে ৪ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৬ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হযেছে। দেশীয় দুগ্ধ খামারিদের সুরক্ষায় আমদানি করা গুঁড়া দুধের ওপর আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে সব ধরনের আমদানি করা গুঁড়া দুধের দাম বাড়বে।
আরও দাম বাড়তে পারে প্লাস্টিকের তৈরি গৃহস্থালি সামগ্রী, সিআর কয়েল, জিআই ওয়্যার, তারকাঁটা, স্ক্রু, অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি হাঁড়ি-পাতিল, থালা-বাসনসহ গৃহস্থালি সামগ্রী, ব্লেড, ট্রান্সফরমার, সানগ্লাস, রিডিং গ্লাসের। উৎপাদন পর্যায়ে ট্যারিফ মূল্যের পরিবর্তে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করায় এলপি গ্যাস, গুঁড়া মসলা, টমেটো কেচাপ, চাটনি, ফলের জুস, টয়লেট টিস্যু, টিউবলাইট, চশমার ফ্রেমের দাম বাড়তে পারে।
স্বর্ণ ও রূপার জুয়েলারি, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, লঞ্চের এসি কেবিন, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট, ইনডেনটিং, আসবাবপত্র, পরিবহন ঠিকাদার, তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর সেবার ওপর ভ্যাট দেওয়ার প্রস্তাব করায় এসব ক্ষেত্রে গ্রাহকদের খরচ বাড়তে পারে।
এছাড়া পোশাকের মূল্যের ওপর আড়াই শতাংশ ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। ফলে জামা-কাপড়ের দাম বাড়তে পারে। জামা-কাপড় কেনার পাশাপাশি তৈরি করতেও খরচ বাড়তে পারে। কারণ জামা-কাপড় তৈরির ওপর ১০ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হবে। এছাড়া রড উৎপাদন ও বিপণনে ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করায় বাড়ি করার খরচ বাড়তে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৯
জিসিজি/এএ