শুক্রবার (১২ জুন) সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, দেশের অর্থ পাচাররোধে প্রয়োজনে আইন সংশোধন করা হবে।
এসময় পুঁজিবাজার প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, পুঁজিবাজার গতিশীল করতে কাজ করা হচ্ছে। এর গভীরতা বাড়াতে নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আমরা পুঁজিবাজার চাঙ্গা করতে যে উদ্যোগ নিয়েছি সচারাচর এমন উদ্যোগ নেওয়া হয় না।
স্বাস্থ্যখাত প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হচ্ছে স্বাস্থ্যখাতে সেবা বাড়ানোর জন্য যা কিছু করার দরকার তা করা হবে। সেবা বাড়ানো মানে, নামে সেবা বাড়ানো নয়। ইফেক্টিভলি সেবা যতক্ষণ বাড়ানো যাবে এবং সুযোগ থাকে বাড়ানোর, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা কখনও না করবো না। একটি মিনিস্ট্রির কাছে ১০ হাজার কোটি টাকা, এটা অনেক টাকা। এটা খরচ করতে অনেক দিন লাগবে। তাদের টাকার অভাব হবে না। ’
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য টাকার কোনো অভাব হবে না। কিন্তু তাদের সার্ভিসটা নিশ্চিত করতে হবে। ইফেক্টিভ সার্ভিস দিতে হবে। উন্নত দেশের কথা বলবো না, আমাদের সমমানের যেসব দেশ যে মানের চিকিৎসা সেবা দেয়, অন্তত সে মানে দ্রুত চলে আসতে হবে। ’
বাজেট বাস্তবায়নের আশাবাদ ব্যক্ত করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আশা করি, এ বাজেট আমরা বাস্তবায়ন করতে পারবো। আমাদের প্রত্যাশা হলো করোনা বেশিদিন প্রলম্বিত হবে না। যেহেতু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবো। আমাদের ভৌত অবকাঠামো তৈরি করা আছে। সুতরাং আমরা বিশ্বাস করি, ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট আমরা বাস্তবায়ন করতে পারবো। এজন্যই বাজেটটি আমরা দিয়েছি। ’
কোভিড ১৯ ও বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি, এ বাজেটটি ভিন্ন, আগেই বলেছি। যেহেতু স্বাভাবিক পথ রুদ্ধ ছিল আমাদের জন্য, তাই ভিন্ন পথেই আমাদের কাজটি করতে হয়েছে। সেজন্য হয়তো আপনারা দেখবেন, অনেকের কাছে অনেক অসঙ্গতি মনে হবে। কিন্তু উপায় ছিল না আমাদের। অসঙ্গতি হলেও আমাদের উপায় ছিল না। বাজেট না থাকলে কোনো অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে নেওয়া যায় না। এখন আমাদের দেশের মানুষ মারা যাচ্ছেন, অনেকে না খেয়ে কষ্ট পাবেন, যারা চাকরি হারিয়েছেন তারা কষ্ট পাবেন, যারা রিকশা শ্রমিক তারা কষ্ট পাবেন– এসব মানুষের কষ্ট দূর করার জন্য প্রধানমন্ত্রী কোনো সময় নষ্ট না করে দ্রুত ছুটে আসলেন। আমাদের নির্দেশনা দিলেন যে, প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নির্দেশনা দেন, সেই নির্দেশনা মেনে আমরা যেন সবাইকে সহযোগিতা করি। সেই কাজটি আমরা করে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২০
এমআইএস/এসই/জিসিএস/ওএইচ/