ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

করোনাকালে অপরিবর্তিত থাকছে করমুক্ত আয়সীমা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৪ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২১
করোনাকালে অপরিবর্তিত থাকছে করমুক্ত আয়সীমা

ঢাকা: করোনা মহামারিকালে দেয়া দ্বিতীয় বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা আগের মতোই থাকছে। প্রস্তাবিত ২০২১-২২ বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা রাখা হয়েছে।

এছাড়া নারী ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে যাদের বার্ষিক আয় ৩ লাখ টাকার কম, তাদের কোনো কর দিতে হবে না।

বৃহস্পতিবার (০৩ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনায় এই প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।  

এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। বাজেটে মোট আয় ৩ লাখ ৯২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। ঘাটতি ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। মোট উন্নয়ন ব্যয় ২ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮ কোটি টাকা। এরমধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। আর মোট অনুন্নয়ন ব্যয় ৩ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

প্রস্কাবিত বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের করহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর কারণে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ব্যক্তিশ্রেণির করদাতার জন্য বিদ্যমান করহার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করছি। ব্যক্তিশ্রেণির করদাতার জন্য বিদ্যমান এই করহার তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের জন্যও প্রযোজ্য ছিল। তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের সামাজিক আত্তীকরণের লক্ষ্যে বিশেষ বিধান চালুর পাশাপাশি তাদের করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করছি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ব্যবসা সহজীকরণ ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। বিশেষ করে ব্যক্তিশ্রেণির ব্যবসায়ী করদাতাদের করদায় লাঘবে সরকার সদা তৎপর। এ লক্ষ্যে ব্যক্তি করদাতাদের ব্যবসায়িক টার্নওভার করহার হ্রাস করে ০.৫ শতাংশের পরিবর্তে ০.২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।

উল্লেখ্য, করোনা মহামারি শুরুর পর প্রথম বাজেট ২০২০-২১ করমুক্ত আয় সীমা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করা হয়৷ এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে করমুক্ত আয়সীমা ২ লাখ ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছিল। তারপর চার বছর করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ টাকাই ছিল।  

সাধারণত চার-পাঁচ বছর পরপর জীবনযাত্রার ব্যয় ও মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় করসীমা বাড়ানো হয়। বর্তমানে ৩ লাখ টাকা বার্ষিক আয়ের ক্ষেত্রে আয়কর দিতে হয় না। পরবর্তী ১ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ে কর দিতে হয় ৫ শতাংশ হারে, তার পরবর্তী ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ে কর দিতে হয় ১০ শতাংশ হারে, পরবর্তী ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর দিতে হয় ১৫ শতাংশ হারে, তার পরবর্তী ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর দিতে হয় ২০ শতাংশ হারে। এর চেয়ে বেশি আয়ের জন্য ২৫ শতাংশ হারে কর প্রযোজ্য হচ্ছে।

আরও পড়ুন...
তৃতীয় লিঙ্গের করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ
রূপপুর প্রকল্পে সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ
বাজেটে ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকার এডিপি
যেসব পণ্যের দাম বাড়বে
যেসব পণ্যের দাম কমছে
দাম বাড়ছে সিগারেটের
প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ২ শতাংশ
৫০০০০ টাকার বেশি বিল ব্যাংকিং চ্যানেলে না নিলে অতিরিক্ত উৎসে কর
স্মার্ট ওয়াচ, কম্পিউটার ও যন্ত্রাংশ উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি
২ লাখ টাকার কম সঞ্চয়পত্রে টিআইএন লাগবে না
দেশে মোবাইল ফোন উৎপাদন-সংযোজনে আরও ২ বছর ভ্যাট অব্যাহতি
করোনা টেস্ট কিট, টিকা আমদানি ও উৎপাদনে কর অব্যাহতি

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২১
জিসিজি/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।