ঢাকা: সমুদ্র অর্থনীতিতে নতুন দিগন্তের উন্মোচন ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেছেন, আমাদের সরকারের নেতৃত্বে ঐতিহাসিক সমুদ্র বিজয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত বিশাল জলরাশি দেশের সুনীল অর্থনীতি বিকাশের দ্বার উন্মোচন করেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ শিরোনামে খসড়া বাজেট বক্তব্যে এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার সমুদ্র বিজয়ের মাধ্যমে দেশের সুনীল অর্থনীতি বিকাশের দ্বার উন্মোচন করেছে। সুনীল অর্থনীতির বিকাশ এবং সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনে আমরা ২০১৪ সালে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা প্রণয়ন করেছিলাম। জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজির (জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা সম্প্রতি উক্ত কর্মপরিকল্পনাকে ২০১৮-৩০ সাল পর্যন্ত হালনাগাদ করেছি এবং তা বাস্তবায়ন করছি।
তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সহায়তায় অবৈধ ও অনিয়ন্ত্রিত মৎস্য আহরণ রোধে ‘ন্যাশনাল প্ল্যান অব অ্যাকশন’ প্রণয়ন করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩৫টি সার্ভে ক্রুজ পরিচালনা করা হয়েছে। এছাড়া ‘গভীর সমুদ্রে টুনা ও সমজাতীয় পেলাজিক মাছ আহরণে পাইলট প্রকল্প’ বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর ফলে সমুদ্র অর্থনীতিতে নতুন দিগন্তের উন্মোচন ঘটবে বলে আমি আশাবাদী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০২২
এসএমএকে/এসআরএস