৪৪তম বিসিএস পরীক্ষার প্রিলিমিনারি টেস্ট (এমসিকিউ টাইপ) পরীক্ষা শুরু হবে শুক্রবার (২৭ মে) সকাল ১০টায়, চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে।
যা করতে হবে পরীক্ষার্থীদের
সকাল ৮টা ৩০ মিনিট থেকে ৯টা ২৫ মিনিটের মধ্যে শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত পরীক্ষা হলে নিজ নিজ পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করে নির্দিষ্ট আসন গ্রহণ করবেন। পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় প্রার্থীদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। মাস্ক ছাড়া কোনও পরীক্ষার্থী পরীক্ষা হলে প্রবেশ করতে পারবেন না।
সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে ৯টা ৫৫ মিনিটে প্রার্থীদের মধ্যে উত্তরপত্র বিতরণ করা হবে। উত্তরপত্রের ১, ২, ৩ ও ৪ চারটি সেট থাকবে। উত্তরপত্রে নিজ জেলা ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখবেন এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বরের সংশ্লিষ্ট বৃত্তগুলো কালো কালির বল পয়েন্ট কলম দিয়ে পূরণ করবেন। প্রার্থীরা হাজিরা তালিকায় স্বাক্ষর করবেন। এ সময় প্রবেশপত্র টেবিলের ওপর খুলে রাখতে হবে। প্রবেশপত্রের ছবি এবং স্বাক্ষরের সঙ্গে হাজিরা তালিকার ছবি ও স্বাক্ষর মিলিয়ে দেখা হবে। গরমিল পাওয়া গেলে বহিষ্কারসহ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরীক্ষার্থী যে সেট নম্বরের উত্তরপত্র পাবেন তাকে সে সেট নম্বরের প্রশ্নপত্র দেওয়া হবে। উত্তরপত্রের সেট নম্বর এবং প্রশ্নপত্রের সেট নম্বর এক এবং অভিন্ন হতে হবে। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে প্রার্থীরা উত্তরদান শুরু করবেন।
বেলা ১২টায় পরীক্ষা শেষ হবে। প্রার্থীরা নিজ নিজ আসনে অবস্থান করবেন। পরিদর্শকরা উত্তরপত্র সংগ্রহ করবেন। পরিদর্শকরা উত্তরপত্র সংগ্রহ করে বুঝে নেওয়ার পর প্রার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ধীরে ধীরে পরীক্ষা কক্ষ ত্যাগ করবেন। প্রার্থীরা প্রশ্নপত্র সঙ্গে নিয়ে যাবেন।
পরীক্ষা সংক্রান্ত জরুরি নির্দেশনা
প্রার্থীদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৮ (আট) ডিজিট সংবলিত। রেজিস্ট্রেশন নম্বরের ডিজিটগুলো (সংখ্যাগুলো) উত্তরপত্রের প্রযোজ্য ঘরে কালো কালির বল পয়েন্ট কলম দিয়ে লিখে নিচের প্রযোজ্য বৃত্ত ভরাট করতে হবে। প্রতিটি উত্তরপত্রে সেট নম্বরের নির্ধারিত স্থানে সেট নম্বর এবং সেট নম্বরের জন্য নিচের সংশ্লিষ্ট বৃত্তটি মুদ্রিত থাকবে। কাজেই প্রার্থীদের উত্তরপত্রে সেট নম্বর লেখা এবং সেট নম্বরের বৃত্ত ভরাট করার প্রয়োজন হবে না। প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর সকাল ১০টায় প্রার্থী তার প্রশ্নপত্রের সেট নম্বর এবং উত্তরপত্রের সেট নম্বর অভিন্ন কিনা তা চেক করে নিশ্চিত হবেন। প্রশ্নপত্র এবং উত্তরপত্রের সেট নম্বর অভিন্ন না হলে সঙ্গে সঙ্গে পরিদর্শককে অবহিত করতে হবে। প্রবেশপত্রের নিচে মুদ্রিত নির্দেশনা অতি মনোযোগের সঙ্গে পড়ে অনুসরণ করতে হবে।
প্রশ্নপত্র বিতরণের পর (সকাল ১০টা) কোনও প্রার্থীকে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। প্রশ্নপত্র দেওয়ার পর পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত (দুপুর ১২টা) কোনও প্রার্থী পরীক্ষা কক্ষ ত্যাগ করতে পারবেন না।
পরীক্ষা কক্ষে পরিদর্শকরা প্রার্থীর প্রবেশপত্রের ছবি, রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (প্রয়োজনে) পরীক্ষা করবেন। প্রবেশপত্রে উল্লেখিত রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং নাম ঠিকভাবে উত্তরপত্রের যথাস্থানে প্রার্থী লিখেছেন কিনা এবং প্রার্থীর প্রবেশপত্র ও হাজিরা তালিকার ছবি অভিন্ন কিনা পরীক্ষক তা নিশ্চিত হয়ে পরিদর্শক হাজিরা তালিকায় প্রার্থীর স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন। হাজিরা তালিকায় পরিদর্শকের জন্য নির্ধারিত স্থানে পরিদর্শক স্বাক্ষর করবেন। কোনও প্রার্থীর ছবি, স্বাক্ষর, প্রবেশপত্র এবং উত্তরপত্রের নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের গড়মিলসহ কোনও অনিয়ম ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট প্রাণীর প্রার্থিতা বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরীক্ষায় অসদুপায় প্রতিরোধে প্রার্থীদের নিম্নোক্ত বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে অনুসরণ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে বই-পুস্তক, সকল প্রকার ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক কার্ড/ক্রেডিট কার্ড সদৃশ কোনও ডিভাইস, গহনা ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এসব নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ কোনও প্রার্থী পরীক্ষা হলে প্রবেশ করতে পারবেন না।
পরীক্ষা হলের গেটে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ নিষিদ্ধ সামগ্রী তল্লাশির মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের পরীক্ষা হলে প্রবেশ করতে হবে।
পরীক্ষার দিন উল্লেখিত নিষিদ্ধ সামগ্রী সঙ্গে না আনার জন্য সব প্রার্থীর মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠানো হবে। এসএমএস বার্তার নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
পরীক্ষার সময় প্রার্থীরা কানের ওপর কোনও আবরণ রাখবেন না, কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনও ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শপত্রসহ আগেই কমিশনের অনুমোদন নিতে হবে।
কোনও প্রার্থী পরীক্ষায় নকল করলে বা মোবাইল ফোন বা কোনও ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ প্রবেশ এবং উক্ত প্রযুক্তির মাধ্যমে কোনও অসদুপায় অবলম্বন করলে বা কোনও অসদাচরণের জন্য দোষী সাব্যস্ত হলে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস বিধিমালা অনুসরণে পরীক্ষায় অপরাধমূলক আচরণের জন্য কমিশনের শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ নীতিমালা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া তাকে ভবিষ্যতে কমিশনের কোনও নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১৬ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২২
এসআই