ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

প্রকৃতি সংরক্ষণ পদক পেলেন আনোয়ারুল ইসলাম

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩
প্রকৃতি সংরক্ষণ পদক পেলেন আনোয়ারুল ইসলাম

ঢাকা: বাংলাদেশের প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলামকে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন-চ্যানেল আই প্রকৃতি সংরক্ষণ পদক-২০২২ দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে চ্যানেল আইয়ের চেতনা চত্বরে জমকালো এক অনুষ্ঠানে এ পদক তুলে দেওয়া হয়।

পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী।

পদক প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী এবং প্রকৃতি জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ইমপ্রেস গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু প্রমুখ।

শিক্ষাবিদ ও বন্যপ্রাণী গবেষক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলামের জন্ম ১৯৫৫ সালে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলায়। তিনি ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং কেশবচন্দ্র কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিসাওয়ার স্কুল অব ট্যাক্সিডার্মি থেকে ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্টোরির শিক্ষানবিস হিসেবে কাজ করেন।  

১৯৮৬ সালে প্রখ্যাত পাখিবিজ্ঞানী ড. সালীম আলীর অধীনে পাখি নিয়ে গবেষণা করে বোম্বে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০২০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করে বর্তমানে বন্যপ্রাণী বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়াইল্ডটিম-এর প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করছেন।  

তিনি আইইউসিএন বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত বাংলাদেশের বিপন্ন মেরুদণ্ডী প্রাণীর রেডলিস্ট প্রণয়ন ও সম্পাদনা করেন যার ভিত্তিতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের নীতিমালা ও আইন প্রণীত হয়েছে। তরুণ প্রজন্মকে বন্যপ্রাণী রক্ষায় অনুপ্রাণিত করতে ড. ইসলাম ঢাকায় একটি ‘নলেজ সেন্টার’ ও সুন্দরবনে পাঁচটি ‘সুন্দরবন শিক্ষাকেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠা করেছেন।  

তার রচিত বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংক্রান্ত গবেষণাধর্মী নিবন্ধের সংখ্যা ৭০-এর অধিক ও প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ১০-এর অধিক। বৈচিত্র্যময় কর্মজীবনে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ২০১১ সালে বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন পুরস্কার পেয়েছেন।

প্রকৃতি সংরক্ষণে ২০০৯ সালের ৩ ডিসেম্বর ‘প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১০ সালের ১ আগস্ট চ্যানেল আইয়ে শুরু হয় নতুন মাত্রার গবেষণা, তথ্যবহুল, সচেতনতা ও শিক্ষামূলক ধারাবাহিক প্রামাণ্য অনুষ্ঠান ‘প্রকৃতি ও জীবন’। প্রকৃতি সংরক্ষণ পদক প্রদান শুরু হয় ২০১১ সাল থেকে।  

গবেষণা, জনসচেতনতা সৃষ্টিসহ প্রাণ-প্রকৃতি সংরক্ষণে বহুবিধ কাজ করে যাচ্ছে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন। প্রকৃতিবিষয়ক অনুষ্ঠান, ত্রৈমাসিক প্রকৃতিবার্তা প্রকাশ, স্বাস্থ্যসেবা, প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব গঠন, প্রকৃতিমেলা উদযাপন, জলবায়ু নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম, গান, টেলিফিল্ম, বই, পোস্টার, লিফলেট প্রকাশ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।