ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

জারত হাত-পাও হিয়াল হয়া যায়ছে, সূর্যের দেখা নেই

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৪
জারত হাত-পাও হিয়াল হয়া যায়ছে, সূর্যের দেখা নেই

নীলফামারী: নীলফামারীতে ৬দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। শীত ও কুয়াশায় জবুথবু অবস্থায় মানুষ।

অসহায় ও গরিব মানুষের শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টের সীমা নেই। জারত (ঠান্ডায়) হাত-পাও হিয়াল হয়া যাইছে, কামও করিবার পাইছি না। এমন জার থাকলে গরিব মানুষ মরি যাইবে।

এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন সৈয়দপুরের ৬০ বছর বয়সী শ্রমজীবী তবারক আলী।  

এবার শীতের আগমন দেরিতে হলেও গত ৬ দিন ধরে উত্তর জনপদে সূর্যের দেখা মিলছে না। দিন-রাত অবিরাম কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পুরো এলাকা। কুয়াশার সঙ্গে মাঝে মধ্যে বইছে শুষ্ক শীতল বাতাস। এমন অবস্থায় খেটে খাওয়া মানুষেরা রোজগারের জন্য ঘরের বাইরে যেতে পারছে না। এর ওপর শীতজনিত বিভিন্ন রোগও জেঁকে বসেছে শিশু ও বয়স্কদের মাঝে।  

প্রচণ্ড ঠান্ডায় মাঠ-ঘাট হয়ে পড়েছে জনশূন্য। হাট-বাজারে দোকান খোলা থাকলেও মিলছে না তেমন ক্রেতার দেখা। ফলে বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মূলধন খরচ করেই সংসার চালাতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রচণ্ড শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। কৃষি শ্রমিকরা সকাল সকাল মাঠে নামতে না পারায় তাদের আয়ও কমেছে। ফলে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।

সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু মো. আলেমুল বাসার জানান, শীতের প্রকোপে শিশু ও বয়স্ক মানুষের মাঝে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, অ্যাজমা, সর্দিসহ বিভিন্ন রোগ বেড়েছে।  

সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা লোকমান হাকিম বলেন, জেলাজুড়ে ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে আর হিম বাতাস বয়ে যাচ্ছে। ফলে শীতের তীব্রতা বেড়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৪ 
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।