ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

কয়রায় বাঁধ বাঁধার যুদ্ধে অংশ নিল ৫ হাজার গ্রামবাসী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৫ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২১
কয়রায় বাঁধ বাঁধার যুদ্ধে অংশ নিল ৫ হাজার গ্রামবাসী

খুলনা: ৪ নম্বর মহারাজপুর ইউনিয়নের দশালীয়া বেড়িবাধঁ বাঁধা হবে। আগে থেকেই এমন ঘোষণা দেওয়া ছিলো।

যার কারণে রোববার (৩০ মে) ভোর ৬টায় দূর-দূরান্ত থেকে কেউ হেঁটে, কেউবা নৌকা-ট্রলারে করে নিজ নিজ দায়িত্বে ঝুড়ি-কোদাল নিয়ে বাঁধ বাঁধতে চলে এসেছেন।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব ও ভরা পূর্ণিমায় জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক বাড়ায় খুলনার কয়রা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিতে তলিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। সে বাঁধ মেরামত করছেন গ্রামবাসী।

রোববার কপোতাক্ষ নদে ভাটা চলাকালে দল-মত নির্বিশেষে ভেদাভেদ ভুলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কপোতাক্ষ নদের মহারাজপুর ইউনিয়নের দশালীয়া এলাকা থেকে লোকা পর্যন্ত ৫টি পয়েন্টের বেড়িবাধঁ মেরামত করছেন স্থানীয় মানুষ।

কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, মহারাজপুর ইউনিয়নের দশালিয়া এলাকা থেকে লোকা পর্যন্ত কপোতাক্ষ নদের ৫ টি পয়েন্ট ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। রোববার কয়রা সদর ইউনিয়ন, বাগালি ইউনিয়ন, মহারাজপুর ইউনিয়নের পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ সেচ্ছাশ্রমে বাঁধ বাঁধার কাজ করছেন।
সেচ্ছাসেবক কামাল হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ফলে কয়রা সদর ইউনিয়ন, বাগালি ইউনিয়ন, মহারাজপুর ইউনিয়নের প্রায় ৩০টির অধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। যার ফলে এসব গ্রামের পুকুর ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। রোববার ভোর থেকে মানুষ নিজেদের টিকে থাকার লড়াইয়ে সেচ্ছাশ্রমের বাঁধ মেরামাতে কাজ করছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বাঁধ নির্মাণে সিনথেটিক বস্তা, বাঁশ, পেরেক এবং দড়ি দিয়ে সহযোগিতা করছে।

মদিনাবাদ গ্রাম থেকে আসা ইমদাদুল হক বলেন, ৪ নম্বর মহারাজপুর ইউনিয়নের দশালীয়া বেড়িবাধেঁর ভাঙন সবচেয়ে বড় ভাঙন। এখান থেকে সবচেয়ে বেশি নোনা পানি প্রবেশ করে গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। দিশাহীন হাজার হাজার মানুষের কান্না, অসহায় আর্তনাদে ভারী হচ্ছে কয়রার বাতাস। এসব দুর্গত মানুষ দাবি জানাচ্ছেন দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধের।

গ্রামবাসীর বাঁধ মেরামতের সময় উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম, কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম মহসিন রেজা, মহারাজপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জিএম আব্দুল্লাহ আল মামুন লাভলুসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) লোকজন উপস্থিত রয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২১
এমআরএম/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।