সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পশ্চিম দুর্গাবাটি এলাকায় ৫ নম্বর পোল্ডারের উপকূল রক্ষা বাঁধের দেড়শ‘ ফুটেরও বেশি অংশ খোলপেটুয়া নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পশ্চিম দুর্গাবাটি এলাকায় ওই বাঁধের সাইক্লোন শেল্টার সংলগ্ন অংশ আকস্মিকভাবে নদীতে বিলীন হয়ে যায়।
এসময় আশপাশের এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ভাঙন কবলিত অংশে মাটি ফেলার কাজ শুরু করেন।
খবর পেয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ভাঙন কবলিত অংশ পরিদর্শন করেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, ভাঙন কবলিত অংশে সংস্কার কাজের সময় গুণগত মান রক্ষা করা হয়নি। এজন্য দেবে যাওয়া চরের উপরিভাগের বাঁধ নদীতে ধসে গেছে। দ্রুত রিং বাঁধ নির্মাণ করা না গেলে জোয়ারে আশপাশের পাঁচ-ছয়টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার শংকা রয়েছে।
দুর্গাবাটি গ্রামের নিলুৎপল মণ্ডল জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাঁধের কাছের একটি চিংড়ি ঘেরে তারা কয়েকজন কাজ করছিলেন। এসময় আকস্মিকভাবে সাইক্লোন শেল্টারের পূর্ব প্রান্তের বাঁধের দেড়শ ফুটের বেশি জায়গা পাশের খোলপেটুয়া নদীতে ধসে পড়ে। এতে চারিদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের গ্রামের শত শত মানুষ ভাঙন কবলিত অংশে পৌঁছে ধসে যাওয়া বাঁধের ভেতর দিয়ে রিং বাঁধ নির্মাণের জন্য ঘটনাস্থলে জড়ো হন।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রভাষক পরীক্ষিত মণ্ডল জানান, দ্রুত রিং বাঁধ নির্মাণ করা না গেলে পশ্চিম ও পূর্ব দুর্গাবাটি, ভামিয়া, পোড়াকাটলা, আড়পাঙ্গাশিয়াসহ আশপাশের পাঁচ-ছয়টি গ্রাম প্লাবিত হতে পারে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নদীতে বড় ধরনের জোয়ারের পর ভাটা শুরুর একপর্যায়ে আগে থেকে নড়বড়ে অবস্থায় থাকা বাঁধের ওই অংশ নদীতে বিলীন হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন অফিসার মাসুদ রানা জানান, নদীর চর দেবে যাওয়ার কারণে হঠাৎ খাড়াভাবে বাঁধের কিছু অংশ নদীতে ধসে গেছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
খবর পেয়ে সন্ধ্যায় ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আতাউল হক দোলন বলেন, আমরা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে উপজেলা পরিষদের বরাদ্দ দিয়ে জেনারেটরের মাধ্যমে লাইটের ব্যবস্থা করে আপাতত রাতের মত সংস্কার কাজ শুরু করি। তবে এখানকার নাজুক বেড়িবাঁধগুলো টেকসই করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২২
এসআই