ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

জোয়ারের পানিতে ডুবেছে লক্ষ্মীপুরের উপকূলীয় এলাকা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২২
জোয়ারের পানিতে ডুবেছে লক্ষ্মীপুরের উপকূলীয় এলাকা

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদী সংলগ্ন কমলনগর এবং রামগতি উপজেলার উপকূলীয় এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া রায়পুর উপজেলা দুই ইউনিয়ন এবং সদরের একটিসহ মোট ১৩টি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকায় জোয়ারের পানি উঠে গেছে।

 

বুধবার (১০ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার পর জোয়ারের পানি উপকূলে উঠতে শুরু করে। বিকেল ৫টার দিকে পানি আবার নেমে যায়।  

তবে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার পানিতে উপকূলে ব্যাপক ক্ষতি হয়। তীব্র আকার ধারণ করে নদীর ভাঙন।  

প্রতি বর্ষা মৌসুমের অমাবস্যা এবং পূর্ণিমার জোয়ারে মেঘনা নদীতে পানি বেড়ে গেলে উপকূলীয় এলাকাগুলো প্লাবিত হয় বলে জানান স্থানীয়রা।  

তারা জানান, মেঘনা নদীর পূর্ব তীরে বেড়িবাঁধ না থাকায় কমলনগর উপজেলার ছয়টি, রামগতি উপজেলার তিনটি, সদর উপজেলার চররমনী মোহন এবং রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ও উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন অরক্ষিত হয়ে আছে। এছাড়া রামগতি উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চর আবদুল্লাহ ইউনিয়ন জোয়ারের পানিতে পুরোপুরি ডুবে থাকে।  

উপকূলীয় এলাকায় দেখা যায়, জোয়ারের পানিতে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি তলিয়ে গেছে এবং বসতবাড়ির উঠানে পানি উঠে গেছে। কারো কারো ঘরে আবার পানি উঠেছে। এতে ফসলের ক্ষতিসহ দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা।  

এছাড়া জোয়ারের পানি ওঠা এবং নামার সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কাঁচা এবং পাকা সড়ক। কারো কারো পুকুরে পানি ঢুকে চাষকৃত মাছ ভেসে যায়। ফলে কমলনগর এবং রামগতি উপজেলার বাসিন্দারা দ্রুত তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণের দাবি জানালেও বাঁধ নির্মাণ কাজে ধীরগতি দেখা গেছে।  

কমলনগর উপজেলার চারমার্টিন এলাকার বাসিন্দা ওসমান হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, জোয়ারের পানিতে আমার পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।  

একই এলাকার আলমগীর হোসেন বলেন, জোয়ারের পানি আমার চায়ের দোকানে ঢুকে পড়েছে।  

মাইনুর বেগম ও রাবেয়া বেগম দুই নারী জানান, প্রতি অমাবস্যা এবং পূর্ণিমার জোয়ারেই তাদের বসত ঘরে পানি ঢুকে পড়ে। এতে শিশু সন্তান নিয়ে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয় তাদের।  

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি অমাবস্যা এবং পূর্ণিমার জোয়ারে নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে আড়াই ফুট পানি বৃদ্ধি পায়। এর সঙ্গে সাগরে যদি কোনো সংকেত থাকে, তাহলে পানি আরও বেশি বাড়তে থাকবে।  

তিনি বলেন, এখন পূর্ণিমা এবং বঙ্গোপসাগরে প্রকৃতিক দুর্যোগের সংকেত থাকায় জোয়ারের অতিরিক্ত পানি উপকূলে  উঠেছে। বুধবার থেকে আগামী ১৫ তারিখ পর্যন্ত এ অবস্থা থাকবে। তবে আজকের চেয়ে ভরা পূর্ণিমার দিন পানি আরও বাড়বে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।