ঢাকা, শুক্রবার, ৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১ শাবান ১৪৪৬

কর্পোরেট কর্নার

এমএফএসের অপব্যবহার রোধে পুলিশ-বিকাশের কর্মশালা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫
এমএফএসের অপব্যবহার রোধে পুলিশ-বিকাশের কর্মশালা

ঢাকা: মোবাইল আর্থিক সেবা খাতকে আরও সুরক্ষিত করতে এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে এর ব্যবহার প্রতিরোধে দেশজুড়ে ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এবং বিকাশ। ১৪টি কর্মশালার মাধ্যমে ৪২টি জেলার ৪৫০ জন পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তা এতে অংশ নেন।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে ‘মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএসে) অপব্যবহার তদন্ত ও প্রতিরোধ’ শীর্ষক এই কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।  

পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মোস্তফা কামাল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।  

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.), বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ও বিকাশের উপদেষ্টা মো. নজিবুর রহমান এবং বিকাশের ইভিপি ও হেড অব এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স মেজর এ কে এম মনিরুল করিম (অব.)।

অপরাধী চক্র সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্য কীভাবে কাজে লাগিয়ে তাদের শনাক্ত করা ও আইনের আওতায় আনা যায়, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এই কর্মশালাগুলোতে। এতে প্রযুক্তির ব্যবহার করে তদন্ত কর্মকর্তারা গ্রাহকের হারানো টাকা অনুসন্ধানের কৌশল, ডিজিটাল লেনদেন মনিটরিংয়ের মাধ্যমে অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধের উপায়, এবং তদন্তের প্রয়োজনে বিকাশের কর্মকর্তাদের সাথে কীভাবে খুব সহজেই যোগাযোগ করা যায় - এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এছাড়া কোনো অপরাধমূলক ঘটনা সংঘটিত হওয়াকালীন তৎক্ষণাৎ কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, তা নিয়েও কর্মশালাগুলোতে আলোকপাত করা হয়।

অনুষ্ঠানে পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মোস্তফা কামাল বলেন, কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন পিবিআই অফিসে গিয়ে বিকাশ এ কর্মশালার আয়োজন করেছে। এর ফলে এমএফএস সম্পর্কিত তদন্ত কাজে এই ৪৫০ তদন্ত কর্মকর্তা আরও দক্ষতা অর্জন করতে পেরেছেন বলে আমি বিশ্বাস করি। পাশাপাশি তদন্ত পরিচালনার কাজে দুই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ আরও সহজ ও কার্যকর হবে। এই কর্মশালাগুলোর আয়োজন অব্যাহত থাকুক এটাই আমরা কামনা করি।

বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.) বলেন, যেখানে অর্থ থাকবে, সেখানে অর্থলোভী থাকবে, থাকবে আর্থিক অপরাধ। কিন্তু আমরা যদি সমন্বিতভাবে এই অপরাধগুলোকে চিহ্নিত করতে পারি, যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করি এবং সেগুলো প্রতিরোধে সচেতন থাকি, তাহলে হয়তোবা এটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।

উল্লেখ্য, ডিজিটাল লেনদেনে প্রতিটি লেনদেন মনিটর ও ট্র্যাক করা যায়। ফলে পুলিশ, ডিবি, সিআইডি, পিবিআই সহ সব তদন্ত কর্মকর্তাদের অনুসন্ধান প্রক্রিয়া অনেক নির্ভুল, সহজ ও দ্রুত হয়। এ বিষয়ে বিকাশ ২০১৭ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন তদন্ত কর্মকর্তাদের সাথে ‘মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস’র অপব্যবহার তদন্ত ও প্রতিরোধ’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করে আসছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় অনুষ্ঠিত বিকাশের নিয়মিত এই আয়োজনে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় তিন হাজার তদন্ত কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা,ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।