ঢাকা, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০২ জিলকদ ১৪৪৬

কর্পোরেট কর্নার

অভিযোগের বিষয়ে এশিয়াটিকের বক্তব্য

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:৫০, এপ্রিল ২৯, ২০২৫
অভিযোগের বিষয়ে এশিয়াটিকের বক্তব্য

এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটি এবং এর অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানসমূহ ও পরিচালনা পর্ষদ সদস্যদের জড়িয়ে সম্প্রতি ছড়ানো বিভিন্ন অভিযোগকে ‘ভুল ও বানোয়াট তথ্যের ভিত্তিতে অপপ্রচার’ বলে অভিহিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটি এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটি এবং এর অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানসমূহ ও পরিচালনা পর্ষদ সদস্যদের সম্পৃক্ত করে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুল ও বানোয়াট তথ্যের ভিত্তিতে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে-সোনার পদকে ভেজাল, সিআরআই কানেকশন, স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তি ও মুজিববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠান আয়োজনে দুর্নীতি, জয় বাংলা কনসার্টের আয়োজন ও বিজ্ঞাপনের বাজার দখল। এর একটি অভিযোগও এশিয়াটিকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়ক, রাজনীতিবিদ, দার্শনিক, শিল্প-সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, বিশিষ্ট নাগরিক ও সংগঠনকে সম্মাননা দিতে যে সোনার ক্রেস্ট প্রদান করা হয়েছিল, তা সরবরাহ করেছিল অন্য একটি প্রতিষ্ঠান-অথচ অপপ্রচার চালানো হচ্ছে এশিয়াটিকের নামে। এ আয়োজনে এশিয়াটিক শুধুমাত্র ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করেছে। সিআরআই-এর সাথে ইরেশ যাকের কিংবা এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটি’র কোনো অঙ্গ-প্রতিষ্ঠানের কোনো সম্পর্ক কোনোদিনই ছিল না, বর্তমানেও নেই।

স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি ও মুজিব বর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠান সরকারি ক্রয় দরপত্র আহ্বানের আওতায় অনুষ্ঠিত হয়। এক্ষেত্রে, যথাযথ দরপত্র পদ্ধতির অধীনে প্রাক-যোগ্যতা প্রক্রিয়া ও সর্বনিম্ন মূল্যায়িত প্রতিষ্ঠান হিসেবে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে অনুষ্ঠান আয়োজনে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এশিয়াটিক শুধুমাত্র ইভেন্ট আয়োজন, সরঞ্জাম ও সংশ্লিষ্ট সেবা সরবরাহ করে। এক্ষেত্রেও যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়।

এশিয়াটিকের সব বেসরকারি ও করপোরেট ক্লায়েন্টের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র পদ্ধতি রয়েছে; যেখানে বিভিন্ন মানদণ্ড পূরণের সাপেক্ষে নির্ধারিত হয় দরপত্র জমা দেওয়া কোন প্রতিষ্ঠান কাজের জন্য উপযুক্ত। এশিয়াটিক সবসময় দরপত্র জমা দিয়ে এবং পিচে অংশগ্রহণ করে প্রয়োজনীয় সব চুক্তি সম্পাদন করার মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সঙ্গে ক্লায়েন্টদের সেবা প্রদান করে আসছে। গ্লোবাল কমপ্লায়েন্স ও বায়িংয়ের বৈশ্বিকভাবে সেরা অনুশীলনী অনুসরণ করে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করে এশিয়াটিক। এক্ষেত্রে, সর্বোচ্চ সততা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়। বিজ্ঞাপন ও কমিউনিকেশনস খাতে সেবা প্রদানে এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটির একচেটিয়া বাজার আধিপত্য নেই। এ শিল্পখাতের বিভিন্ন সেবাখাতে এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটি অন্যান্য এজেন্সির সাথে প্রতিযোগিতা করে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে।

বিগত বছরগুলোতে যতগুলো জয় বাংলা কনসার্ট আয়োজিত হয়েছে, তা আয়োজন করেছে শীর্ষস্থানীয় অন্য দুটি প্রতিষ্ঠান (এজেন্সি)। এ কনসার্ট আয়োজনের সাথে এশিয়াটিক ইভেন্টস বা এশিয়াটিকের কোনো অঙ্গ-প্রতিষ্ঠানের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এছাড়াও এশিয়াটিক বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কিছু সংখ্যক অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্ব পেলেও, কোনো রাজনৈতিক দলের প্রচারণা বা অনুষ্ঠান আয়োজনের সঙ্গে কখনোই সম্পৃক্ত ছিল না।

এ ছাড়া ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দকরণ প্রসঙ্গে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অধীনে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের (সিআইসি) নির্দেশ সাপেক্ষে এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটির অধীনস্থ ১৭টি প্রতিষ্ঠান এবং এর পরচালনা পর্ষদের ছয়জন পরিচালক ও দুজন কর্মকর্তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়। এ বিষয়ে কোনো প্রকার পূর্ব নোটিশ অথবা সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি এশিয়াটিককে প্রদান করা হয়নি। যেহেতু, এক্ষেত্রে অভিযোগের ব্যাপারে সংবাদে অথবা ব্যাংক হতে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগের উল্লেখ ছিল না, তাই এশিয়াটিকের ট্যাক্স ও লিগ্যাল টিম সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি সবিস্তারে জানার চেষ্টা করে।

বর্তমানে এশিয়াটিকে ৭০০-এর বেশি স্থায়ী কর্মী এবং দেশজুড়ে প্রায় চার হাজার চুক্তিভিত্তিক কর্মী রয়েছে। বিজ্ঞাপন নিয়ে এশিয়াটিকের কার্যক্রমের সাথে দেশের টেলিভিশন, রেডিও, সংবাদপত্র, অনলাইন ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম সম্পৃক্ত। এশিয়াটিকের কার্যক্রমে সঙ্গে আরও সম্পৃক্ত রয়েছেন শিল্পী, সংগীতজ্ঞ ও কলা-কুশলীসহ বিভিন্ন পেশাখাতের মানুষ। এছাড়াও সাউন্ড, লাইট, সেট নির্মাণ, প্রিন্ট মিডিয়া, ফটোগ্রাফিসহ অন্যান্য সেবাখাতের ও প্রযুক্তিগত পরিষেবা প্রদানকারী ৫০০-এর অধিক সরবরাহকারী ও ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান এ কার্যক্রমের সাথে যুক্ত। আকস্মিকভাবে এশিয়াটিকের প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক হিসাব জব্দ করার ফলে এ বিশাল কর্মযজ্ঞের সাথে জড়িত এশিয়াটিকের কর্মীরা ও তাদের পরিবার এবং ৫০০-এর অধিক সরবরাহকারী ও ভেন্ডর প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য অংশীজনদের চরম ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।