মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মামলাটির চার্জ শুনানির দিন ধার্য ছিল। তবে খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামির পক্ষে সময়ের আবেদন জানানো হয়।
ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আমিনুল ইসলামের আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে চার্জ শুনানির দিন আগামী ১৪ মার্চ দিন পুনর্নির্ধারণ করেন।
এ মামলার ১১ আসামির মধ্যে জামিনে থাকা অন্য ০৯ আসামি হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাপেক্স’র সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন এবং ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া।
কারাগারে আটক আছেন ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন।
কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলাটি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ২০০৭ সালের ০৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
২০০৮ সালের ০৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান।
অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
নাইকো ছাড়াও গ্যাটকো ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা বাতিলের আবেদন জানিয়ে পৃথক পৃথক রিট করেছিলেন খালেদা জিয়া। এসব রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত ও রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। কয়েক বছর ধরে স্থগিত থাকার পর মামলাগুলো সচলের উদ্যোগ নিয়ে রুল নিষ্পত্তির আবেদন জানায় দুদক। পরে গত বছর পৃথক পৃথক শুনানি শেষে মামলা তিনটি সচলের রায় দেন হাইকোর্ট।
বর্তমানে তিন দুর্নীতি মামলারই বিচারিক প্রক্রিয়া চলছে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৭
এমআই/এএসআর
