মঙ্গলবার (০৭ নভেম্বর) চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বাসার কাছে শাজাহানপুর রেলওয়ে মাঠের পাম্পের পাইপে পড়ে যায় শিশু জিহাদ। প্রায় ২৩ ঘণ্টা পর ২৭ ডিসেম্বর বিকেল তিনটার দিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাকে। এরপর শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরদিন ২৮ ডিসেম্বর জিহাদের পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে ‘চিল্ড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’র পক্ষে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম।
রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শিশু জিহাদের পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
রুলের শুনানি শেষে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি দেওয়া রায়ে জিহাদের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
গত অক্টোবর মাসে প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ রায়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে ১০ লাখ এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষকে ১০ লাখ টাকাসহ মোট ২০ লাখ টাকা ৯০ দিনের মধ্যে তার বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
৪৭ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে হাইকোর্ট আরও বলেন, এ রায়ের পরও অন্য আইনে রেলওয়ে বা ফায়ার সার্ভিসের দায় থাকলে ওই দায় থেকে মুক্তি পাবে না তারা।
এরপর রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে ফায়ার সার্ভিস।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৭
ইএস/জেডএস/এএসআর