ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আদালত

কিশোরগঞ্জে শিক্ষক হত্যায় ৯ জনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৯
কিশোরগঞ্জে শিক্ষক হত্যায় ৯ জনের যাবজ্জীবন

কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জে স্কুলশিক্ষক সাহেদ আলী হত্যা মামলায় নয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর আসামি সহিদ মিয়াকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে কিশোরগঞ্জের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আবু তাহের আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আমিনুল হক, রতন মিয়া, রিপন মিয়া, নুর উদ্দিন, দুলাল মিয়া, মোস্তফা, রাশিদ, আবু সাহিদ ও নূর উদ্দিন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৪ সালের ৪ এপ্রিল বিকেলে হোসেনপুর উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের বীর হাজীপুর গ্রামের বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক সাহেদ আলী রিকশায় বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় পূর্ব বিরোধের জের ধরে একই এলাকার পিপলাকান্দি গ্রামে নূর উদ্দিনের বাড়ির সামনের রাস্তায় বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায় আসামিরা।  

গুরুতর আহত অবস্থায় সাহেদ আলী মাস্টারকে উদ্ধার করে হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার ২০ দিন পর ২৪ এপ্রিল তার মৃত্যু হয়।  

এ ব্যাপারে নিহতের ছেলে মো. ফরিদ বাদী হয়ে ২০০৪ সালের ৯ এপ্রিল ১০ জনকে আসামি করে হোসেনপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে একই বছরের ১৭ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করে।  

মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে আদালত এ দণ্ডাদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট মোস্তাক হোসেন। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অশোক সরকার।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৯
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।