ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আদালত

পটুয়াখালী হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৯
পটুয়াখালী হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

পটুয়াখালী: পটুয়াখালীতে আবুল বাশার হত্যা মামলায় পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের প্রত্যেকে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মামলার অন্য ছয় আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কে এম এনামুল করিম এ দণ্ডাদেশ দেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সাহেব আলী খলিফা, নিজাম ওরফে নিজামউদ্দিন, সোহরাব, আনছার ও জুয়েল।

বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- আ. জব্বার, শাহজাহান খলিফা, মমিন ওরফে মমিন উদ্দিন, সুলতান শিকদার, রিনা বেগম ওরফে রেহেনা ও ছোবাহান খলিফা। তারা সবাই পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলা কাকড়াবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৬ সালের ২০ নভেম্বর বিকেলে কাকড়াবুনিয়া গ্রামে আবুল বশার ও ইউনুস তাদের ভোগ দখলের জমিতে ধান কাটতে গেলে বিরোধী পক্ষের লোকজন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রাম দা, বাঁশের লাঠি, রড, ছেনা ইত্যাদি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় আবুল বাশারকে রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন।

এ ঘটনায় মির্জাগঞ্জ থানায় নিহতের চাচাতো ভাই ইউনুছ আলী খলিফা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মির্জাগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহাবুবুল আলম তদন্ত সাপেক্ষে ১১ জন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন।  

এ মামলার ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষগ্রহণ শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত বুধবার পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন। এছাড়া মামলার অন্য ছয় আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন।

বাদী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট ইউনুছ এবং আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জহিরুল ইসলাম মুকুল।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৯
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।