ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আদালত

গোবিন্দগঞ্জে মেয়রপুত্র সাম্য হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
গোবিন্দগঞ্জে মেয়রপুত্র সাম্য হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে স্কুলছাত্র আশিকুর রহমান সাম্য (১৪) হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড ও আটজনের পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আট আসামির প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দীলিপ কুমার ভৌমিক এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় দণ্ডপ্রাপ্ত সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- শাহারিয়ার সরকার হৃদয়, রাকিবুল হাসান সজিব ও মাহামুদুল হাসান জাকির প্রধান। এদের মধ্যে হৃদয় ও জাকির নিহত সাম্যর সহপাঠী।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মাসুদ প্রধান সুজন, আল-আমিন ইসলাম, আল-আমিন, রাবেয়া বেগম, শিমুল মিয়া, রুনা বেগম, জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন। দণ্ডপ্রাপ্ত সবাই গোবিন্দগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দা।

রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম শফিক বাংলানিউজকে বলেন, মামলার সাক্ষী-প্রমাণসহ আদালতে দীর্ঘ শুনানি শেষে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় দেন বিচারক।

মামলার রায়ে আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও প্রতিহিংসার জেরে পরিকল্পিতভাবে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে স্কুলছাত্র সাম্যকে হত্যা করে মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে।  

গত ৬ জানুয়ারি উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের দিন ধার্য করেন আদালত। এ মামলায় আদালতে ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি হয়। প্রায় সাড়ে চার বছর মামলার বিচার কার্যক্রমে গোবিন্দগঞ্জের নিম্ন আদালতে ৪০ দিন ও জেলা জজ আদালতে ১৭ দিন শুনানি হয়।  

রায়ের পর নিহত সাম্যর বাবা গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার আদালতে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১১ আসামি পরোক্ষ সহযোগিতায় তার ছেলেকে হত্যা করে। দীর্ঘ তদন্ত, সাক্ষ্য-প্রমাণ ও আসামিদের স্বীকারোক্তিতে হত্যাকাণ্ডটি আদালতে প্রমাণিত হয়। তবে আমাদের প্রত্যাশা ছিল, দোষীরা প্রত্যেকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবে। কিন্তু এ রায়ে আমরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আর তাই উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

২০১৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে অপহরণ হয় নবম শ্রেণির স্কুলছাত্র সাম্য। পরদিন বর্ধনকুঠি বটতলার কমিউনিটি সেন্টারের সেপটিক ট্যাংক থেকে তার হাত-পা বাঁধা বস্তাভর্তি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যার ঘটনায় ৯ নম্বর ওয়ার্ড পৌর কাউন্সিলর জয়নাল আবেদিনকে প্রধান এবং সাম্যের সহপাঠীসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন সাম্যর বাবা। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১১ মার্চ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করে পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।