চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে সাদমান ইসলামের দুর্দান্ত শতকে ভর করে এগিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে দিনের শেষ ভাগে দ্রুত উইকেট হারানোয় আবার ম্যাচে ফিরে এসেছে জিম্বাবুয়ে।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই জিম্বাবুয়েকে ২২৭ রানে অলআউট করে দেয় বাংলাদেশ। একমাত্র বল খেলে বিদায় নেন ১১ নম্বর ব্যাটার ব্লেসিং মুজারাবানি। এরপর বাংলাদেশের দুই ওপেনার আনামুল হক ও সাদমান ইসলাম দেখেশুনে শুরু করেন ইনিংস। সাদমান শুরু থেকেই ছিলেন আগ্রাসী—সোজা ব্যাটে দুইটি চমৎকার ড্রাইভ, কভারের ওপর দিয়ে দুর্দান্ত শট, সব মিলিয়ে ছিল চোখধাঁধানো ব্যাটিং।
দীর্ঘদিন পর টেস্টে ফেরা আনামুলও ধৈর্য্যের সঙ্গে খেলে চারটি বাউন্ডারিতে ৩৯ রান করেন। দুজনের ওপেনিং জুটিতে আসে ১১৮ রান। তবে লাঞ্চের পরেই মুজারাবানির ফুল লেংথ ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেন আনামুল।
এরপর মুমিনুল হক ও সাদমান গড়েন ৭৬ রানের আরেকটি মূল্যবান জুটি। মুমিনুল করেন ৩৩ রান, তার ইনিংসে ছিল একটি ছক্কা ও দুটি চার। কিন্তু মাঝপথে মুমিনুল আউট হলে পরের বলেই সাদমানকেও এলবিডব্লিউ করেন ব্রায়ান বেনেট। ১৮১ বলে ১২০ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন সাদমান—এটি ছিল তার দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি।
মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত আবার খেলায় স্থিতি আনার চেষ্টা করেন। দুজনই ছক্কা হাঁকান ব্রায়ান বেনেটকে, মুশফিক মারেন আরও কয়েকটি চমৎকার চার। তবে শান্ত দ্রুতই ফিরেন, সহজ এক ক্যাচ দিয়ে তুলে দেন ভিনসেন্ট মাসেকেসাকে তার প্রথম টেস্ট উইকেট।
এরপর এক ওভারে জোড়া ধাক্কা—মাসেকেসা নিজের বলে জাকের আলিকে (৫) ক্যাচ নেন, পরে মুশফিক রানআউট হয়ে ফিরে যান। তিন রান করে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নাঈম হাসান—মাসেকেসার তৃতীয় উইকেট।
বাংলাদেশের স্কোর যখন ২৯১/৭, লিড ৬৪ রান, হাতে ৩ উইকেট; লোয়ার অর্ডারে থাকা মিরাজ ও তাইজুল দিনের শেষটা কোনোমতে সামলে মাঠ ছাড়েন।
এমএইচএম