জাতীয় ক্রিকেট দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন সম্প্রতি কিছু বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে—বিশেষ করে একাদশ নির্বাচনে ও খেলোয়াড়দের ভূমিকা নির্ধারণে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ।
তবে মঙ্গলবার কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের আগে এসব অভিযোগ নিয়ে তিনি প্রকাশ্যে মুখ খোলেন। জানালেন, এইসব কথাবার্তায় তিনি বিচলিত নন—তার লক্ষ্য কেবলই দলের উন্নতি।
সালাহউদ্দিন বলেন,
‘আমি একজন কোচ। আপনি যদি আমাকে অনূর্ধ্ব-১৩ দলের কোচ হতে বলেন, তাতেও আমার কোনো আপত্তি নেই। আমার গায়ে কোনো ট্যাগ নেই যে আমি কেবল জাতীয় দলের কোচ। আমার কোনো অহংকার নেই। ’
তিনি বলেন,
‘বাংলাদেশ দল আমার পারিবারিক সম্পত্তি না। আমি যদি ভালো না করি, তাহলে মানুষ সমালোচনা করবে, সেটাই স্বাভাবিক। আবার ভালো করলে প্রশংসাও করবে। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সততা ধরে রাখা এবং শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করা—আমার কাছে সেটাই বড়। ‘
গুঞ্জন চলছে, সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে বোর্ডে। তবে তিনি বলেন, অভিযোগ থাকলে সেগুলো নির্দিষ্টভাবে বলা উচিত।
তিনি বলেন,
‘আজ ২৭-২৮ বছর কোচিংয়ের পর যদি কেউ বলেন আমার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ, তাহলে অন্তত বলা উচিত—কী সেই অভিযোগ? প্রমাণ ছাড়া প্রকাশ্যে কিছু বলা ঠিক নয়। যদি প্রমাণ থাকে, তাহলে তো আমারও উপকার—কারণ আমি নিজেকে সংশোধন করতে পারব। ’
‘আমি জানি আমি কে, জানি আমার দায়িত্ব কতটুকু। যদি আমি ভালো কোচ না হই, তাহলে বোর্ড আমাকে সরিয়ে দিক—আমার এতে সমস্যা নেই। কিন্তু যাকে খারাপ বলা হচ্ছে, তাকে যাচাই না করেই কিছু বলা ঠিক নয়। ’
সালাহউদ্দিন আরও বলেন, মিডিয়ার অনবরত নজরদারি একজন মানুষের ওপর মানসিক চাপ তৈরি করে। তবে তিনি মানসিকভাবে দৃঢ় বলেই টিকে আছেন।
‘আমি মানসিকভাবে শক্তিশালী বলেই হয়তো টিকে আছি। না হলে অনেকেই পড়ে যেতো এতদিনে। আর এটা এমন না যে আমি নিজে এসে এই চাকরি চেয়েছি বা কারও কাছে দরখাস্ত করেছি। আমি এখানে এসেছি যাতে দলকে সামান্য হলেও সাহায্য করতে পারি। ’
বাংলাদেশ দলের বর্তমান পারফরম্যান্সও তুলে ধরেন তিনি।
‘আমরা এমন এক সময়ে আছি, যেখানে দল নিয়মিত হারছে। এখন যদি আমি কাউকে সুযোগ দিয়ে লাভবান হতে চাই, সেটা কি সম্ভব? এটা তো এমন একটা দল না, যারা প্রতিদিন জিতে—আর আমি লুকিয়ে একজনকে দলে ঢুকিয়ে দেব। দল ভালো খেলছে না, তাই দলের একজন সদস্য হিসেবে আমি চাইব, দল ভালো করুক। ’
তথ্যসূত্র: ডেইলি সান
এমএইচএম