সময়ের স্রোতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) পেরিয়েছে ১১টি আসর। আলো-ঝলমলে আয়োজন, তারকাদের সমাগম—সবই আছে।
এবার নতুন ভরসা নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের কিংবদন্তি অ্যালেক্স মার্শালকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিপিএলকে সুরক্ষিত করার। কঠোর সিদ্ধান্ত আর দৃঢ় অবস্থানের জন্য পরিচিত এই ব্রিটিশ কর্মকর্তা ঢাকায় পা রেখেই বাজিয়ে দিলেন যুদ্ধের দামামা। জানালেন—বাংলাদেশ ক্রিকেটকে দুর্নীতি থেকে মুক্ত করাই তার মূল লক্ষ্য। অ্যালেক্সের বিশ্বাস, শুধু নিয়ম-কানুন নয়, খেলোয়াড়দের ভেতরকার সততা ও সচেতনতাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অস্ত্র।
আজ সকালে রাজধানীর এক পাঁচতারকা হোটেলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিসিবির বিশেষ বৈঠক শেষে মার্শাল বলেন, ‘সব জায়গায় এখন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ হচ্ছে, যেখানে দুর্নীতিবাজরা সুযোগ নিতে চায়। বিপিএল জনপ্রিয় একটি লিগ। এখানে সবকিছু হতে হবে উঁচু মানের, প্রফেশনাল ও সুরক্ষিত। বিশ্বের যেকোনো জায়গায় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ সুরক্ষিত হওয়া উচিত। আমি বিপিএলে সেটাই নিশ্চিত করতে কাজ করব। ’
প্রথম দিন থেকেই মিশনে নেমেছেন তিনি। বিসিবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে জানালেন, ‘আজ আমার প্রথম দিন। সবাই আমাকে সমর্থন দিচ্ছেন। সমর্থকরা যেন প্রকৃত ক্রিকেট দেখতে পারেন, খেলোয়াড়রা যেন সুরক্ষিত থাকে, সেদিকেই আমার মনোযোগ। আগামী ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যে নতুন পরিকল্পনা সাজিয়ে বোর্ডকে দেখাব। ’
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সততা তাকে মুগ্ধ করেছে। তবুও নিশ্চিন্ত নন তিনি। চান প্রতিটি কোণে যেন দুর্নীতির ছায়াও না পড়ে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে আকসুকে (অ্যান্টি করাপশন ইউনিট) না জানানোর কারণে সাকিব আল হাসানকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। সেই সময় আইসিসির আকসুর জেনারেল ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন মার্শাল। এবারও তিনি কেবল দুর্নীতি দমন নয়, বিসিবির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটকে নতুনভাবে সাজানো, ক্রিকেটার-কোচ-টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে ওয়ার্কশপ এবং আকুর কার্যপদ্ধতি পর্যালোচনাতেও মনোযোগ দেবেন।
অ্যালেক্স মার্শাল যুক্তরাজ্যের পুলিশ বাহিনীতে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। ২০১৭ সালে তিনি আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটের জেনারেল ম্যানেজার নিযুক্ত হন। পরে অ্যান্টি ডোপিং ইউনিটও সামলালেও সেটি আলাদা হয়ে গেলে কেবল দুর্নীতি দমনেই মনোযোগ দেন।
এমএইচএম