প্রতিশোধের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারল না পাকিস্তান। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপ সুপার ফোরে রোববার ভারতের কাছে ৬ উইকেটে হেরে ফিরতে হলো সালমান আলি আগার দলকে।
প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে পাকিস্তান তোলে ১৭১ রান। জবাবে ভারত ম্যাচ জিতে নেয় ৭ বল হাতে রেখে। ভারতের হয়ে অভিষেক শর্মা খেলেন ম্যাচজয়ী ইনিংস ৩৯ বলে ৭৪ রান, যেখানে ছিল ৬ চার ও ৫ ছক্কা। তার সঙ্গে শুরুতে ঝড় তোলেন শুবমান গিলও, ২৮ বলে করেন ৪৭ রান।
ইনিংসের প্রথম বলেই শাহিন শাহ আফ্রিদিকে ছক্কায় উড়িয়ে দেন অভিষেক। এরপর শুরু হয় ভারতীয় দুই ওপেনারের তাণ্ডব। মাত্র ২৪ বলে ফিফটি করেন অভিষেক। গিলও তাল মেলান সমানতালে। দুজন মিলে গড়েন পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের ইতিহাসের সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি ৫৯ বলে ১০৬ রান। আগের রেকর্ডটি ছিল ২০১২ সালে গম্ভীর-রাহানের ৭৭ রানের পার্টনারশিপ।
যদিও ৪৭ রান করে গিল ফিরে গেলে ভাঙে জুটি। পরের ওভারে শূন্য হাতে বিদায় নেন সূর্যকুমার যাদব। তবে অভিষেক তখনও থামেননি। ফাহিম ও আবরারকে নিয়ে খেলেন কিছু দারুণ শট। শেষ পর্যন্ত লং অনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। হঠাৎ ১৭ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে ভারত। তবে তিলক ভার্মা (৩০*) আর হার্দিক পান্ডিয়া (৭*) ম্যাচ শেষ করে আসেন সহজেই।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সাহিবজাদা ফারহানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে উড়ন্ত শুরু পায় পাকিস্তান। জীবন পেয়ে ৩৪ বলে ফিফটি করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত করেন ৫৮ রান। তবে ভারতের বাজে ফিল্ডিংই তাকে বারবার সুযোগ করে দেয়।
প্রথম ১০ ওভারে ১ উইকেটে ৯১ রান তুললেও মধ্যভাগে চাপে পড়ে পাকিস্তান। শিবাম দুবে ও কুলদিপ যাদব রান রেট আটকে দেন। দুবে তুলে নেন হুসাইন তালাত ও ফারহানের উইকেট। শেষ দিকে নাওয়াজ-ফাহিম-সালমানরা ঝড় তোলেন। শেষ ৩ ওভারে ওঠে ৪২ রান। ফাহিম ৮ বলে করেন অপরাজিত ২০ রান।
পুরো ম্যাচে ভারত ছেড়ে দেয় চারটি ক্যাচ। সবচেয়ে বেশি ভুগেছেন বুমরাহ। নিজের বাজে দিনে ৪ ওভারে দিয়েছেন ৪৫ রান টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের অন্যতম খরুচে বোলিং।
তবু ব্যাট হাতে অভিষেক-গিলের দুর্দান্ত সূচনা পাকিস্তানের সব পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়। আর তাতেই এশিয়া কাপে টানা দ্বিতীয়বার ভারতের কাছে হারলো সালমান আলি আগার দল।
এআর