খুলনা থেকে: দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিন সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমেছে লাল-সবুজের জার্সিধারী বাংলাদেশ। এ ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার দলপতি মুশফিকুর রহিম।
বাংলাদেশের হয়ে ব্যাটিং সূচনা করতে ক্রিজে এসেছেন তামিম ইকবাল এবং ইমরুল কায়েস।
এর আগে ওয়ানডে সিরিজে কেটেছে ১৬ বছরের আক্ষেপ। এক যুগেরও বেশি সময় ব্যবধানে বাংলাদেশ পেয়েছে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডেতে জয়ের দেখা। তারপরের ইতিহাস তো সবার-ই জানা! ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ বাংলাদেশ জিতেছে দুর্দান্ত দাপটের সঙ্গে।
এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৩ বছর ধরে টেস্ট জিততে না পারার আক্ষেপ ঘোঁচাতে চায় মুশফিক-তামিম-সাকিবরা। এ ম্যাচের মধ্য দিয়ে টেস্টে অভিষেক ঘটল সৌম্য সরকার এবং মোহাম্মদ শহিদের। আর পাকিস্তানের হয়ে অভিষেক ম্যাচে নেমেছেন সামি আসলাম।
টেস্টে বাংলাদেশ-পাকিস্তান প্রথম মুখোমুখি হয় ২০০১ সালের আগস্টে এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে। মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সে ম্যাচে বাংলাদেশ হারে ইনিংস ও ২৬৪ রানের বিশাল ব্যবধানে। এরপর বাকি ১৩ বছরে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলেছে আরো সাতটি টেস্ট ম্যাচ। অথচ কোনোটিতেই জয় নেই টাইগারদের।
আইসিসি’র বর্তমান র্যাঙ্কিংয়ে চার নম্বর দল পাকিস্তান, বাংলাদেশ রয়েছে নয় নম্বরে। তারপরও ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের মতো সাদা পোশাকের ক্রিকেটেও জয় পেতে নামবে টাইগাররা।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার, তাইজুল ইসলাম, রুবেল হোসেন, শুভাগত হোম ও মোহাম্মদ শহিদ।
পাকিস্তান একাদশ: সামি আসলাম, মোহাম্মদ হাফিজ, ইউনিস খান, আজহার আলি, মিসবাহ-উল-হক (অধিনায়ক), আসাদ শফিক, সরফরাজ আহমেদ, ওয়াহাব রিয়াজ, জুনায়েদ খান, ইয়াসির শাহ ও জুলফিকার বাবর।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৫ ঘণ্টা, ২৮ এপ্রিল ২০১৫
এমআর