ঢাকা: বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে শাহরিয়ার নাফিস আর ফজলে মাহমুদের পর তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের দেখা পান মুমিনুল হক। শুধু-শুধুই তিন অঙ্কে পৌঁছেননি তিনি, খেলেছেন ২৩৯ রানের অনবদ্য এক ইনিংস।
জাতীয় ক্রিকেট লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডের ম্যাচে বরিশালের করা প্রথম ইনিংসে ৪৮৯ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে চট্টগ্রাম বিভাগ তোলে ৪২৫ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩০৩ রান সংগ্রহ করে বরিশাল ইনিংস ঘোষণা করলে ড্র মেনে নেয় দুই দল।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৪৩.৪ ওভার ব্যাট করে অলআউট হয় বরিশাল। ওপেনার শাহরিয়ার নাফিস খেলেন ১৬৮ রানের দারুণ এক ইনিংস। তার ২৭৬ বলে সাজানো ইনিংসে ছিল ২২টি চার আর একটি ছক্কা। তিন নম্বরে নেমে দলপতি ফজলে মাহমুদ করেন ১৩৩ রান। ২৭৭ বল মোকাবেলা করে তার ইনিংসে ছিল ২১টি চারের মার।
এছাড়া আল আমিন ৬০, সোহাগ গাজী ১০, নুরুজ্জামান ৩৪ রান করেন।
চট্টগ্রামের হয়ে চারটি উইকেট নেন নাবিল সামাদ, তিনটি উইকেট পান বেলাল হোসেন আর ডলার মাহমুদ দখল করেন দুটি উইকেট।
ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রামের ওপেনার আবদুল্লাহ আল মামুন ৩৭ ও নাফিস ইকবাল ৫৬ রান করে ফিরে যান। দলের আর কেউ বড় স্কোর করতে না পারলেও মুমিনুল খেলে যান স্বভাবসূলভ ভঙ্গিতে।
চলমান জাতীয় লিগের প্রথম আসরে মাঠে নামতে পারেননি মুমিনুল। সে সময় ভারত সফরে থাকায় খেলেননি তিনি। তবে, দ্বিতীয় রাউন্ডে মাঠে নেমেই ৯০ রানের একটি ইনিংস খেলেছিলেন মুমিনুল। পরের তিনটি রাউন্ডেই তার ব্যাট আর হাসছিল না। তবে, ষষ্ঠ রাউন্ডে মুমিনুলের ডাবল সেঞ্চুরিতে ১২৩ ওভার খেলে চট্টগ্রাম সব উইকেট হারিয়ে তোলে ৪২৫ রান।
বরিশালের হয়ে সোহাগ গাজী ৫টি আর মনির হোসেন তিনটি উইকেট তুলে নেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশালের হয়ে ওপেনার শাহরিয়ার নাফিস করেন অপরাজিত ১৭৪ রান। ২০৯ বল মোকাবেলা করে ২১ টি চার আর দুটি ছক্কা হাঁকান তিনি। এছাড়া আল আমিন হোসেন করেন ৬৮ রান।
যৌথভাবে ম্যাচ সেরা হন শাহরিয়ার নাফিস এবং মুমিনুল হক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, ০৩ নভেম্বর ২০১৫
এমআর