ঢাকা: ‘আমি জানি, জুবায়ের ক্যান বি অ্যা ম্যাচ উইনার। তার একটা সুযোগের দরকার।
কোচের এমন কথায় হাসি ফুটতেই পারে ঘরোয়া ক্রিকেটে উপেক্ষিত লেগস্পিনার জুবায়ের হোসেনের মুখে। ঘরোয়া লিগগুলোতে ম্যাচ খেলতে পারার আকুতি যে জুবায়েরের দীর্ঘদিনের! এক্ষেত্রে দুইয়ে-দুইয়ে চার মেলাতে গেলে কোচের প্রত্যাশাও পূর্ণ করতে হবে জুবায়েরকে। সেটিও জানালেন সুজন, ‘চ্যালেঞ্জটা নিতে হবে জুবায়েরকেই। টিমে আরও প্লেয়ার আছে। ওকে (জুবায়ের) চ্যালেঞ্জ নিয়ে ফাইট করেই খেলতে হবে। নেটে আমাকে ইমপ্রেস করতে পারলে প্রাথমিক সুযোগটা আমি ওকে দিতে পারি। আমি জানি, সে একজন ম্যাচ উইনার। ওর ম্যাচ খেলে সাহস সঞ্চয় করা দরকার। ’
সুযোগটা কেমন হবে, ১-২ ম্যাচ?-এমন প্রশ্নের জবাবে খালেদ মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘একটা প্লেয়ারকে ভালোভাবে দেখার জন্য কমপক্ষে ৩-৪ ম্যাচ প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে জুবায়ের পর্যাপ্ত সুযোগই পাবে। বাকিটা নির্ভর করছে সে নিজেকে কতটা মেলে ধরতে পারে তার উপর। ’
স্কোয়াডের দিকে তাকালে বোঝা যায় জুবায়েরকে দলের প্রধান স্পিনারদের একজন হিসেবেই বিবেচনা করছে আবাহনী। জুবায়েরসহ আবাহনীর ঘরে স্পিনার তিনজন। বাকি দু’জন সাকিব আল হাসান ও সাকলাইন সজীব। আইপিএল খেলতে যাওয়া সাকিবকে সুপার লিগের আগে পাচ্ছে না আবাহনী, এটা মোটামুটি নিশ্চিত।
সুপার লিগের আগ পর্যন্ত প্রথম ১১ ম্যাচের অধিকাংশতেই একাদশে দেখা যেতে পারে জুবায়েরকে। আস্থার প্রতিদান দিয়ে প্রিমিয়ার লিগে নিজেকে মেলে ধরতে পারলে জাতীয় দলে ফেরার রাস্তাও তৈরি হয়ে যেতে পারে এ লেগস্পিনারের। এজন্য অবশ্য আদা-জল খেয়েই মাঠে নামতে হবে জুবায়েরকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, ১৫ এপ্রিল ২০১৬
এসকে/এমআর