ঢাকা: গ্লাভসে তার বল আটকানোর কৌশল মুগ্ধ করে একাডেমির সবাইকে। কিপিংয়ে দক্ষতা বাড়ছে দিন দিন।
মিরপুরের গোলারটেক ঈদগাহ মাঠে সপ্তাহে চারদিন অনুশীলন চলে এ একাডেমির ক্রিকেটারদের। ঈদুল আজহার কারণে ছেলেদের এক সপ্তাহের ছুটি দিয়েছেন কোচ আহসানুল জনি। তবে, ছুটির সময়েও অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন একাডেমির চার ক্রিকেটার- অর্নব, মুকিত, রায়হান ও মুকতাদির।
অর্নবের কাছে জানা গেল মুকতাদিরের ব্যাটিংও দৃষ্টিনন্দন, ‘একাডেমিতে ৬০ জনের মতো ক্রিকেটার আছে। তার মধ্যে মুকতাদির খুব নাম করেছে। ওকে সবাই একটু আলাদা চোখে দেখে। কিপিংয়ের পাশাপাশি মুকতাদির ব্যাটিংটাও দারুণ করে। ’
ব্যাটিং দেখতে চাওয়ার ইচ্ছা পোষণের সঙ্গে সঙ্গেই মুকতাদির পায়ে প্যাড বাঁধা শুরু করলেন। বেঁধে নিলেন থাই গার্ড। মাথায় হেলমেট নিয়ে মিনিট দু’য়েকের মধ্যে ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে গেলেন নেটে।
কংক্রিটের উইকেট হওয়ায় শর্ট বলগুলো একটু বেশিই লাফিয়ে উঠছিল। তাতে একটু সমস্যাও হচ্ছিলো এ খুদে ক্রিকেটারের, তবে ওভারপিচ বলগুলোকে ঠিকই খেলে গেছেন নিজস্ব স্টাইলে। লাফিয়ে ওঠা বলগুলো পুল করার চেষ্টা ছিল এ খুদে ক্রিকেটারের মাঝে। ব্যাটিং শেষে নিজের লক্ষ্যের কথা জানালেন মুকতাদির, ‘মুশফিকুর রহিমের মতো হতে চাই। বাবা-মা বলেছেন, চেষ্টা করো। একটা পর্যায়ে যাও। ক্রিকেট খেলতে আমারও ভালো লাগে। স্বপ্ন দেখি জাতীয় দলে খেলার। ’
মুশফিক ছাড়া আর কোনো উইকেটকিপারকে চেনো-এমন প্রশ্নে গড় গড় করে বলে গেলেন কয়েকটা নাম-লিটন কুমার দাস, নুরুল হাসান সোহান, এনামুল হক বিজয়। সবশেষে যোগ করলেন কুমার সাঙ্গাকারার নাম। টেলিভিশনে খেলা দেখে বড় বড় ক্রিকেটারের কিপিং-ব্যাটিং রপ্ত করার চেষ্টা করেন বলে জানান মুকতাদির। কে জানে, একদিন হয়তো মুশফিক-লিটন-বিজয়দের স্থলাভিষিক্ত হবেন এ কিশোরটিই। তবে এ জন্য প্রয়োজন এ প্রতিভার সঠিক পরিচর্যা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬
এসকে/এমআরপি